সংবাদদাতা, সিউড়ি : এবার রাজনগরের জঙ্গলমহল এলাকায় সিদ্ধেশ্বরী নদীর উপকূলে কটেজ ট্যুরিজম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। ফলে পাহাড়-জঙ্গল-নদীর সমন্বয়ে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে ছুটির মরশুমে প্রকৃতিপ্রেমীদের পছন্দের ঠিকানা হতে পারে বীরভূমের রাজনগর। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অনুমোদন পেলেই কটেজ টুরিজমের কাজ শুরু করবে প্রশাসন। বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের ম্যাসাঞ্জোর ড্যাম প্রকৃতিপ্রেমী বা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।
আরও পড়ুন-বিজেপি অপবিত্র করেছে তুলসীকে
সারা বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে ঘুরতে আসেন। ম্যাসাঞ্জোরে ময়ূরাক্ষী নদীর ড্যাম আর পাহাড়বেষ্টিত এলাকা নজরকাড়া। পাহাড়ের কোলেই রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট গ্রাম। পর্যটন কেন্দ্রের উন্নতি হতেই গ্রামগুলিরও আর্থিক অবস্থা ফিরেছে। মূল পেশা এখন পর্যটন কেন্দ্রের ছোট ছোট দোকানপাট। ম্যাসাঞ্জোরের পিছনেই রয়েছে বীরভূমের রাজনগর ব্লকের গাংমুরি জয়পুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সিদ্ধেশ্বরী নদী। এই নদীর কাছাকাছি অবধি প্রসারিত ম্যাসাঞ্জোরের পাহাড়ঘেরা এলাকা আর তাকে ঘিরে ঘন জঙ্গল। হিংস্র জীবজন্তু না থাকলেও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বিষধর সাপ, কীটপতঙ্গের দেখা মেলে জঙ্গলে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা প্রতি ঋতুতেই এই পাহাড়ঘেরা জঙ্গলের পরিবেশ পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন প্রশাসন কর্তারা। তাই এখানে কটেজ টুরিজম করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এখানে তৈরি করা হবে ছোট ছোট কটেজ। সেখানে রাত্রিবাসের ব্যবস্থার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া, ভ্রমণ-সহ বিনোদনের একাধিক ব্যবস্থা থাকবে। কটেজগুলিতে ছুটি কাটাতে আসতে পারবেন ঝাড়খণ্ড ও বাংলার পর্যটকেরা। তার ফলে বীরভূমের এই জঙ্গলমহলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। রাজ্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্যদের কাছে প্রাথমিক পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষও। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ম্যাসাঞ্জোরের ঠিক পিছনে সিদ্ধেশ্বরী নদীর কাছে আমরা একটি কটেজ টুরিজম করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাজ্যের প্রতিনিধিরা কয়েকদিন আগে এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।