রাজ্য সরকারের বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে ২০ কোটি পেলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

গত আর্থিক বছরে নাম নথিভুক্ত করা নদিয়ার ১৮ ব্লকের ৮০ হাজার চাষি বাংলা শস্যবিমা বাবদ আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন ২০ কোটি টাকা।

Must read

শ্যামল রায়, কৃষ্ণনগর : বন্যা-শিলাবৃষ্টি-অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি, পোড়ামাকড়ের আক্রমণ ও ঘূর্ণিঝড়ে শস্য উৎপাদন নষ্ট হলে কৃষকরা আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষতিপূরণে রাজ্য চালু করেছে ‘বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প’ । এই যোজনায় অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের শস্যবিমার প্রিমিয়াম পুরোটাই রাজ্য দেয়। কৃষকদের আর্থিক সংকট কাটাতে প্রকল্পটি চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-বছর শুরুর দিঘা-সৈকত জনমানবহীন

গত আর্থিক বছরে নাম নথিভুক্ত করা নদিয়ার ১৮ ব্লকের ৮০ হাজার চাষি বাংলা শস্যবিমা বাবদ আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন ২০ কোটি টাকা। এর ফলে ভীষণ উপকৃত তাঁরা। মঙ্গলবার জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিক রঞ্জন রায়চৌধুরি জানান, জেলার চাষিরা রবিশস্য চাষে আর মহাজনের খপ্পরে পড়ছেন না। তাঁদের ভরসা এখন সরকার। চাষিরা যাতে বাংলা শস্যবিমায় নাম নথিভুক্ত করতে পারেন সে ব্যাপারে প্রচার অভিযান এবং উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি দফতর। মূলত রবিশস্য হিসাবে গম, ধান, সরষে, মুসুরি, ছোলা, খেসারি-সহ বেশ কিছু সবজি চাষ হয়ে থাকে। এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। জেলার ১৮ ব্লকে চাষাবাদে যুক্ত প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ। এর মধ্যে ডাল চাষের জন্য শস্যবিমায় নাম নথিভুক্ত করেছেন ৩ লক্ষ চাষি।

আরও পড়ুন-করোনা কবলে মন্ত্রী বীরবাহা

এছাড়াও আগামী দিনে রবিশস্য-সহ ১১ ধরনের শস্যচাষে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরাও বিমার টাকা পাবেন। তিনি আরও বলেন, খরিফ শস্যচাষে জেলায় নাম নথিভুক্ত করেছেন ২ লক্ষ ৫৪ হাজার চাষি। গত অক্টোবর পর্যন্ত মাঝে মাঝেই বৃষ্টির কারণে একাধিক চাষে জেলার চাষিরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই বাংলা শস্যবিমায় আগ্রহী চাষিদের নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা বাড়িয়েছে রাজ্য। ডাল ধরনের শস্য যাঁরা চাষ করেন, তাঁদের জন্য সময়সীমা বেড়েছে ১৫ দিন। রবিশস্যের বিমার আবেদনপত্র নেওয়ার শেষ দিন বেড়েছে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আমাদের উদ্দেশ্য, জেলার প্রত্যেক চাষিকে বিমার আওতায় আনা। নবদ্বীপ ব্লকের কৃষি আধিকারিক সুমন জানা জানান, এই ব্লকে সাড়ে ১০ হাজার চাষি বাংলা শস্যবিমা যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। গত আর্থিক বছরে ৪ হাজার ৩২২ জন চাষির আবেদনপত্র মঞ্জুর হয়েছে। তাঁরাও শীঘ্রই টাকা পাবেন

Latest article