প্রতিবেদন : এবার আদালতে প্রচণ্ড তিরস্কারের মুখে পড়ল সিবিআই। আলিপুরের বিশেষ আদালত সোমবার দু’টি কারণে তীব্র ভর্ৎসনা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। সিবিআইয়ের তরফে সোমবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) তাদের হেফাজতে চাইলেও অসন্তুষ্ট বিচারক তা খারিজ করে দিয়ে সুবীরেশকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ৬ দিন নিজেদের হেফাজতে রেখেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি সিবিআই, মূলত এই কারণেই সিবিআইয়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। সঙ্গে আরও একটি কারণ হল, এদিন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে তাঁকে পেশ করা হয়েছে আদালতে। গ্রেফতার করার পর ৬ দিনে একবারও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় এজেন্সির আসল উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-এসএসসি-তে নিয়োগ শুরু, পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি
প্রশ্ন উঠেছে, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) গ্রেফতারের নেপথ্যে আসলে কি প্রতিহিংসার রাজনীতি? নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে এদিন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এ নিয়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করে দেরির কারণ জানতে চান বিচারক। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, যানজটের কারণেই এই বিলম্ব। কিছুটা বিরক্তির সুরেই বিচারক মন্তব্য করেন, নিজাম প্যালেস থেকে হেঁটে যাতায়াত করলেও এর থেকে আগে পৌঁছানো যায়! দু’বার যাতায়াত করা যায় হেঁটে! এরপরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, মামলার কাগজপত্র গুছিয়ে নিতে একটু সময় লেগেছে। তখনই সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। এখানেই শেষ নয়, তদন্তকারী অফিসারকে বিচারক সরাসরি প্রশ্ন করেন, ২০ সেপ্টেম্বর সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না কেন? আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সুবীরেশবাবুর সঙ্গে তাঁর আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে চায় আদালত। কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এই নিয়েও বিচারকের তিরস্কারের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআইয়ের আসল উদ্দেশ্য নিয়েই। জিজ্ঞাসাবাদই যদি না করা হল, তা হলে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হল কেন? তা হলে নেপথ্যে শুধুই কি প্রতিহিংসার রাজনীতি?