অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি
বৃহস্পতিবার দিল্লি লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার জেওয়ারে দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু করার আগে ধর্মীয় আচার মেনে ভূমি পূজন হওয়ার কথা। জেওয়ারে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ৯০০০ কৃষক পরিবার বাস্তুচ্যুত হবে। প্রধানমন্ত্রী মুখে বলেন তিনি কৃষকদের সম্মান করেন, তাই প্রশ্ন উঠেছে, এই ৯০০০ কৃষক পরিবারকেও কি ভূমি-পূজনে ডাকা হবে, যাঁদের জমির পুজো হচ্ছে? প্রথম ধাপে পারোহী, রণহেরা, রোহী, দয়ানতপুর, কিশোরপুর, বনোয়ারি ভাসের জমি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-রাহানের মাথায় দল, কেনের লক্ষ্য স্পিনার
তাঁদের কি জিজ্ঞাসা করা হবে বাড়ি তৈরি, ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য সবাই পুরো টাকা পেয়েছেন কি না? শত শত কৃষক যাঁরা ঘর ভেঙে ঠান্ডায় তাঁবু বানিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন, তথাকথিত কৃষকপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী কি তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন? কিছু কৃষককে তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলার পরেও অন্য জায়গায় প্লট দেওয়া হয়নি, আবার কিছু কৃষক এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। সব মিলিয়ে গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটছে তাঁদের।
আরও পড়ুন-রাজধানীর দূষণে দেশের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে, মত সুপ্রিম কোর্টের
যোগীরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানের জন্য যখন চারদিকে সাজ সাজ রব, তখন জমিদাতা কৃষকরা বাস করছেন তাঁবুতে। এমনই বেনজির চিত্র জেওয়ারের ওই এলাকায়। প্রকল্পের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে রোহি গ্রামে ৪৫ বছর বয়সি ওমপাল গত তিন বছর ধরে পলিথিনের তাঁবুতে বসবাস করছেন। তিনি কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি বা ভূমি অধিগ্রহণ আইনে বসবাসের জন্য প্লটও পাননি।
আরও পড়ুন-বিরল রোগে আক্রান্ত সন্তান, বাড়িতেই ওষুধ তৈরি করে সুস্থ করছে বাবা
ওমপাল সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের দুর্দশা উগরে দিয়েছেন। শুধু কৃষকরাই বাস্তুচ্যুত হননি, তাঁদের সঙ্গে ঘর হারিয়েছে গৃহপালিত পশুরাও। বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের পর রোহি গ্রামের সব বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১০০ কৃষক পরিবার ক্ষতিপূরণ বা বসবাসের প্লট পায়নি। সবমিলিয়ে, প্রদীপের নিচেই ঘন অন্ধকার জমাট বেঁধে রয়েছে।