প্রতিবেদন : ট্রেন থেকেই আসে রুজি রোজগার। ট্রেনের কামড়াই অন্নদাত্রী। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ট্রেনকেই দেবতার রূপে পুজো করে বাঁশবেড়িয়া হকার ইউনিয়নের সদস্যরা। এই নিয়ম চলে আসছে বিগত ১০ বছর ধরে। বিশ্বকর্মা পুজো কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মা আরাধনা হচ্ছে জেলার বিভিন্ন জায়গায়।
আরও পড়ুন-ডিভিসির জলে বানভাসি হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল, গোঘাট-পরিদর্শনে মানস ও বেচারাম
ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখায় বাঁশবেড়িয়া হকার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রতি বছর দশটা চল্লিশের কাটোয়া ব্যান্ডেল লোকাল বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রীতিমতো ঢাক বাজিয়ে, পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পুজো করা হল। ট্রেনের সামনে ফুল, কলাগাছ, ঘুড়ি ,বিশ্বকর্মা ঠাকুরের ছবি লাগিয়ে পুজো করলেন পুরোহিত। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বারোমাস এই ট্রেনের উপরই ভরসা হকারদের। এই ট্রেনে হকাররা হকারি করে তাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করেন। প্রতিবছর আজকের দিনটা তাই ট্রেনকে দেবতা রূপে পুজো করেন। স্টেশনেও বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর শেষে ট্রেনের ড্রাইভার ও গার্ড-সহ যাত্রীদের মিষ্টিমুখ করায় ইউনিয়নের সদস্যরা।