সংবাদদাতা, কাটোয়া : একের পর এক বিরল মূর্তি (Statue) উদ্ধার হচ্ছে মঙ্গলকোটের খেড়ুয়া-সহ বিভিন্ন গ্রাম লাগোয়া অজয় নদ থেকে। মাছ ধরতে বা স্নান করতে গিয়ে উঠে আসছে প্রাচীন যুগের প্রস্তর মূর্তিগুলি। বেশ কিছু মূর্তি বেহাত হয়ে গিয়েছে। মূর্তিচোরদেরও নজরে পড়েছে এলাকায়। বালি তোলার অছিলায় মূর্তিগুলি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ। কিছুদিন আগে মাছ ধরার জালে ওঠে জোড়া বিষ্ণুমূর্তি ও একটি সূর্যমূর্তি। এই ‘বিরল মূর্তিগুলি’ উদ্ধার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। ইতিবাচক সাড়া মেলার পরই খেড়ুয়া ও লাগোয়া এলাকা পরিদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। গত কয়েক বছরে যেসব মূর্তি (Statue) উদ্ধার হয়েছে, তার সিংহভাগ কষ্টিপাথরের। কিছুদিন আগে পাওয়া বিষ্ণুমূর্তি দুটির একটির উচ্চতা ৩ ফুট। অন্যটি ফুটখানেক। সূর্যমূর্তিটি প্রায় ২ ফুট। প্রাথমিকভাবে মূর্তিগুলিকে গ্রামের পুজোমণ্ডপে রাখা হয়েছে। কাটোয়ার প্রাচীন ইতিহাস গবেষক রণদেব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘বিষ্ণুমূর্তি দুটির আকার ও নির্মাণ প্রকরণ প্রমাণ করছে এ দুটি পালযুগের শ্রীধর বিষ্ণুমূর্তি। সূর্যমূর্তিটি সেন আমলের নিদর্শন।’ মঙ্গলকোটের বিডিও জগদীশ বারুই জানান, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। আশা করছি, আর্কিওলজি বিভাগের সদস্যরা এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।’ এলাকার বাসিন্দারাও চাইছেন, মূর্তিগুলি সংরক্ষিত হোক।