প্রতিবেদন: মানুষ খেকো চিতাবাঘ ধরতে সেনা নামানো হল রাজস্থানের উদয়পুরে গত কয়েকদিনে উদয়পুরের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় লেপার্ড বা চিতাবাঘের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। গত জুন থেকে হিসেব করলে এই মানুষ খেকোর আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ৬। বন এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের ধারণা হামলার নেপথ্যে একটি মাত্র চিতাবাঘ। কিন্তু কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না এই ধূর্ত জন্তুটিকে। যদিও বনদফতর এখনও এটিকে মানুষ খেকো জন্তু হিসেবে ঘোষণা করেনি, কিন্তু চিতাবাঘটিকে গুলি করে মারার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল জয়পুরের চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওর্ডেনের কাছ থেকে। তবে মেলে নি সেই অনুমতি।
আরও পড়ুন-মোদিরাজ্যে যৌননির্যাতনে বাধা, ৬ বছরের ছাত্রীকে খুন করল স্কুলের প্রিন্সিপাল
এদিকে উদয়পুরের বনদফতরের উপর চাপ ক্রমশই বাড়ছে। অগত্যা নরখাদককে কব্জা করতে ১৫০ জনের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল তৈরি করেছে রাজস্থান সরকারের বনদফতর। সাহয্য চাওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ৫০ জন সেনা অফিসার যৌগ দিয়েছেন এই বিশেষ দলে। চিতাবাঘটিকে ধরতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন সেনা অফিসাররা। চিতাবাঘের গতিবিধির ওপর নজর দারি চালানো হচ্ছে ড্রোনের সাহায্যে। পায়ের ছাপের ছবি তুলতে উড়ানো হচ্ছে ড্রোন। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে, গভীর জঙ্গলে চিতাবাঘটির পায়ের ছাপ খুঁজে বের করা খুব কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেনা অফিসারদের পক্ষেও। তবে ২৪ ঘণ্টাই ঘড়ির কাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ খেকোটিকে খুঁজে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা অফিসাররা।
লক্ষণীয়, উন্দিথাল গ্রামের ১৬ বছরেরে এক কিশোরী, বেভাদিয়া গ্রামের ৫১ বছরের এক ব্যক্তি এবং ওমারিয়া গ্রামের এক মহিলা গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই মানুষখেকোর হামলায় প্রাণ হারান। তারপরেই দিশাহারা হয়ে সেনার সাহায্য চায় রাজস্থানের গেরুয়া সরকার।