কমল মজুমদার জঙ্গিপুর: বাঁশ ও বেতের তৈরি শিল্পসামগ্রীর কারিগররা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছেন। কাঁচামাল, প্রয়োজনীয় পুঁজি এবং পরিকল্পিত উদ্যোগের অভাবে তাঁদের এখন চরম দুর্দিন। বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে কোণঠাসা কারিগররা। ফলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতশিল্প ক্রমশ বিলুপ্তির পথে। একসময় বাড়ি, অফিস-আদালত সর্বত্র ব্যবহার হত বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা এই ছবি।
আরও পড়ুন-গেরুয়া সন্ত্রাসে রক্তাক্ত গণতন্ত্র, ত্রিপুরায় বেপরোয়া বিজেপি
এরপরেও সাতকানিয়া উপজেলার গুটিকয়েক পরিবারের মানুষ তাঁদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় এই শিল্পের চাহিদা কমছে। তাছাড়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। এখন আর আগের মতো বাড়ির আশপাশে বাঁশ ও বেত গাছ কেউ রাখেন না। প্লাস্টিক আর অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যের হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্রমশ সেই দিকেই ঝুঁকছেন। তা সত্ত্বেও সাতকানিয়া, আমিলাইশ, চরতি গ্রামগুলিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বাঁশ ও বেতশিল্পে যুক্ত পরিবারগুলোর অনেকেই বাড়ির আঙিনায় ঝুড়ি, বাঁশের চাই, ধান-চাল রাখার গোলা, চালন, কুলো, জালি, পাখা, মাটি কাটার উড়া-সহ গৃহস্থালির বিভিন্ন জিনিস তৈরির কাজে ব্যস্ত। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও কাজে হাত লাগিয়েছেন। এইসব জিনিস হাটবাজারে বিক্রিও করছেন তাঁরা।