প্রতিবেদন : শরতের আকাশে ঝলমলে রোদ। মেঘমুক্ত আকাশ। আনন্দে আত্মহারা কুমোরটুলির (Kumartuli) শিল্পীরা। নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা। পুজোর বাকি আর মাত্র ২৩ দিন। মহালয়ার আগেই শহরের বহু মণ্ডপে পৌঁছতে হবে প্রতিমা। কিন্তু তার আগে টানা বৃষ্টিতে শিল্পীদের কপালে পড়েছিল চিন্তার ভাঁজ। তবে মঙ্গলবারের আকাশ তাঁদের মুখে হাসি ফোটাল। কুমোরটুলির (Kumartuli) প্রতিমা শিল্পী বিমল পাল বলেন, আবহাওয়া চিন্তায় ফেলেছিল। আমার বেশিরভাগ ঠাকুরই যায় রাজ্যের বাইরে। সেগুলি প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে রঙের কাজ। কিন্তু স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় রং শুকোতে দেরি হয়। আবহাওয়ার কারণেই রঙের কাজে হাত দিতে পারিনি। রোদ দেখে স্বস্তি পেলাম। এবার রঙের কাজে হাত দেব। বৃষ্টির কারণে প্রতিমা শিল্পীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছিলেন শোলাশিল্পীরাও। প্রতিমার সাজ তৈরির আগে কাঁচা শোলা কড়া রোদে শুকোতে হয়। একটানা বৃষ্টিতে সেই কাজেও ব্যাঘাত ঘটেছিল। তবে রোদের ঝলক দেখে আশ্বস্ত হয়েছেন তাঁরাও। শোলাশিল্পী শম্ভু মালাকার বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ অনেকটাই থমকে গিয়েছিল। বিশেষত শোলার তৈরি প্রতিমা রাজ্যের বাইরে যায়। কাজ বাকি রয়েছে। তবে আকাশে রোদের ঝিলিক দেখে চিন্তা কমল। এবার বাকি থাকা কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলতে হবে। তবে শরতের খামখেয়ালি আকাশ ফের কখন যে মেঘ নিয়ে হাজির হবে কেউ জানে না। তাই আকাশ পরিষ্কার থাকতে থাকতেই প্রতিমা শুকানো, রঙের কাজ যতটা সম্ভব সেরে রাখতে চাইছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে তৈরি দুর্গা পূজিত হন মালদহে