প্রতিবেদন : পূর্ণিমার ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাসে ভাসল দিঘা। প্রশাসন আগেভাগে সতর্ক থাকায় তেমন বিপদ কিছু ঘটেনি। সকালের জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাস দেখা গেলেও সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা জলোচ্ছ্বাসের জেরে সমুদ্রের জল সৈকত সরণি পেরিয়ে প্রধান রাস্তা ভাসিয়ে দিয়ে রাজবাড়ি কমপ্লেক্স পর্যন্ত পৌঁছে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে নজরদারি বাড়ানো হলেও কোনও সতর্কতা জারি হয়নি বা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়নি বলে মহকুমা পুলিশ ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।
প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবস্যার কোটালে দিঘা উপকূলে উত্তাল সমুদ্র গার্ডওয়ালে ধাক্কা দিয়ে বিশাল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ও সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ পূর্ণিমার কোটালে সমুদ্রের ঢেউ গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে টপকে সৈকত সরণিতে ঢুকে পড়ে। জলোচ্ছ্বাস দেখতে পর্যটকরা সেখানে ভিড় জমালেও পুলিশি নজরদারির কারণে কেউ সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে পারেননি। সৈকত থেকে প্রায় ২০০ ফুট দূরে সবাইকে আটকে দেয় পুলিশ। ডিএসপি আবুনুর হোসেন বলেন, অতি উৎসাহী পর্যটকদের সমুদ্রে নামা আটকাতে সৈকতে পুলিশি ও নুলিয়াদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্নানের ঘাটগুলি দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, কোটালের সময় ঢেউ ওল্ড দিঘার সমুদ্র সৈকতের গার্ডওয়াল টপকে সৈকত সরণিতে ঢুকে পড়েছিল। ভাটার সময় জল নেমে গিয়েছে।