বাম জমানায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গড়ার পরই উন্নয়নের দ্বার খুলে গিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু হয়েছে। হয়েছে নতুন স্কুল। প্রতিটা মানুষ জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আমের জোর অর্থনীতিও চাঙ্গা। গত পাঁচ বছরের সেই উন্নয়নেরই (Development- Malda) খতিয়ান
রাস্তাশ্রী-পথশ্রী : মালদহ জেলার প্রতিটি অঞ্চলেই রাস্তাঘাটের হাল (Development- Malda) বদলে গিয়েছে। রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পে ১৫টি ব্লকে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ কিমি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। উন্নত সড়ক যোগাযোগের দৌলতে শুধু যাতায়াত সুগম হয়েছে তা নয়, অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে।
খাদ্যসাথী : রাজ্যে কোনও গরিব মানুষই অভুক্ত থাকবেন না। সেই লক্ষ্যেই মালদহ জেলার ৪১ লক্ষ ৪২ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে রেশন প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষা : গোটা জেলাতেই শিক্ষার সব ক্ষেত্রই আমূল বদলে গিয়েছে। নতুন ডিগ্রি কলেজ হয়েছে বেশ কয়েকটি। মালদহের মানিকচকে একটি ডিগ্রি কলেজ হয়েছে। স্কুলশিক্ষা ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি কলেজে ৩৭ শতাংশ বিষয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পড়ুয়াদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এর পাশাপাশি এক ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা তৈরি হয়েছে ইংরেজবাজার শহরের চন্দন পার্ক এলাকায়। যেখানে প্রি-নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের সুবিধা রয়েছে। এই মাদ্রাসায় শুধু মুসলিম নয়, সব ধর্মের পড়ুয়ারাই পড়ার সুযোগ পাবে। মুখ্যমন্ত্রীর আরেক অভিনব প্রকল্প ঐক্যশ্রী। এই খাতে ৩৫ লক্ষ ১৭ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। এর সঙ্গে সবুজসাথী সাইকেল তো রয়েছেই।
স্বাস্থ্যসাথী : রাজ্য সরকারের আরেক অভিনব প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী। এই প্রকল্পের অধীনে ৮ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
জাতিগত শংসাপত্র : ৮ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষকে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে।
আর্থিক সাহায্য : লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলেছে। এছাড়াও অন্য প্রকল্পের মাধ্যমেও ১২ হাজার ২০০ মানুষকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য প্রদান। তফসিলি জাতিকেও আর্থিকভাবে সাহায্য করা হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার তফসিলি জাতির মানুষকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাহিনীর সংখ্যা জেনে কার লাভ?
সংখ্যালঘু ভবন : জেলার সংখ্যালঘু মানুষের সুবিধার্থে চার কোটি টাকা ব্যয়ে ইংরেজবাজার শহরের পুরনো সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকায় সংখ্যালঘু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
শিল্পসাহায্য : রেশম চাষের জেলা হিসেবে পরিচিত মালদহ। এই রেশম চাষকে উৎসাহিত করতে তৎপর রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যেই সুজাপুর সংলগ্ন এলাকায় একটি সিল্ক পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হয়েছেন জেলার রেশমচাষিরা। মালদহ মানেই আম। উদ্যানপালন দফতরের উদ্যোগে আমের জেলা হিসেবে বিখ্যাত মালদহ শহরে একটি ফুড পার্ক নির্মিত হয়েছে। এর ফলে বহু আম চাষি উপকৃত হচ্ছেন।
কৃষক বাজার : মালদহ জেলার চাষিদের উৎপাদিত ফসল বিক্রয়জাত করতে জেলার ১৫টি ব্লকে কিসান মান্ডি অর্থাৎ কৃষক বাজার তৈরি করেছে রাজ্য কৃষি দফতর।
পানীয় জল : বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গত ১১ বছরে ২৫ কোটি টাকা খরচ করে মালদহে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উন্নয়নে বিনিয়োগ : পূর্ত দফতর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও সেচ দফতর ও পঞ্চায়েত দফতর সহ মোট চারটি দফতর মিলে মোট সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করা হয়েছে।