প্রতিবেদন : প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হচ্ছে দেশে। সেই রিপোর্টই প্রকাশ হল রাজ্যসভায়। সংসদে দেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগত কে কারাদ জানালেন, গত ৫ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে দেশে। টাকার অঙ্কে জালিয়াতির শীর্ষে রয়েছে গীতাঞ্জলি জেমস-এর প্রধান পলাতক মেহুল চোক্সি (Mehul Choksi)।
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমস: স্কোয়াশে ব্রোঞ্জ বাংলার সৌরভের, অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১.৫৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়েছে দেশে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ছিল ২.০২ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে টাকার পরিমাণ ছিল ২.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ২.৩৬ লক্ষ কোটি এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে ঋণ খেলাপি হয়েছে ১.৬১ লক্ষ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাকার মোট অঙ্ক হল ৯.৯১ লক্ষ কোটি টাকা। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রকের তরফে শেষ পাঁচ বছরে ঋণ খেলাপি করা ব্যক্তিদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, শেষ ৪ বছরে দেশে ঋণ খেলাপি করেছেন ১০,৩০৬ জন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশে ঋণ খেলাপি করেছেন ২৮৪০ জন। শুধু তাই নয়, ঋণ খেলাপির টাকার অঙ্কে শীর্ষ থাকা ৫ জালিয়াতের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় প্রথম স্থানে নাম রয়েছে গীতাঞ্জলী জেমসের প্রধান মেহুল চোক্সি (Mehul Choksi)। মেহুলের জালিয়াতির অঙ্ক ৭ হাজার ১১০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এরা ইনফ্রা ইঞ্জিনিয়ারিং। এই সংস্থার জালিয়াতির পরিমাণ ৫৮৭৯ কোটি। তৃতীয় স্থানে থাকা কনকাস্ট স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার জালিয়াতি করেছে ৪১০৭ কোটি টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আরইআই অ্যাগ্রো এবং এবিজি শিপইয়ার্ড। এই দুই সংস্থার প্রতারণার পরিমাণ যথাক্রমে ৩৯৪৮ কোটি এবং ৩৭০৮ কোটি টাকা।