নয়াদিল্লি: সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিজেপি এসআইআরের নামে কীভাবে প্রতারণা করে চলেছে রাজ্যসভায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamata Bala thakur)। এসআইআর নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বিজেপি-কমিশনের বিরুদ্ধে। অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনের ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা ছিন্নমূল উদ্বাস্তুরা। চরম আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন মতুয়ারা। মোদি সরকারের এক প্রতিমন্ত্রী ভুয়ো নাগরিক সার্টিফিকেট বিতরণ করে প্রতারণা করছেন মতুয়াদের। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি৷ মতুয়া সমাজকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের ভিটেমাটি কেড়ে নিয়ে সর্বনাশ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশন৷ এরা যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করছে, মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করছে৷ সোমবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এই ইস্যুতে মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর৷ তাঁর দাবি, মতুয়াদের ভোট যদি বৈধ না হয়, তাহলে দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনও তো বৈধ নয়৷ তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পদত্যাগ করবেন না কেন? এই ভাবে প্রধানমন্ত্রী মতুয়াদের ছুরি মারতে পারবেন না৷ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের আরও প্রশ্ন, ২০০২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বারবার বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট দিয়ে যে অগণিত হিন্দু মতুয়া সরকার গঠন করেছে, তাঁদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হবে কেন? এর পরেই সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর অভিযোগ করেন, মোদি সরকারের প্রতিমন্ত্রী মতুয়াদের প্রতারণা করার জন্য জাল সার্টিফিকেট বিতরণ করছেন৷
আরও পড়ুন-২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৮.৮৮ লক্ষ কোটি ঋণ মকুব
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের (Mamata Bala thakur) এই বক্তব্যের পরেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরা দল বেঁধে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে এসে সভায় তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের তরফে মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিদের প্রভাবিত করার লক্ষ্যে বিতরণ করা নাগরিকত্বের ভুয়ো সার্টিফিকেট৷ মোদি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই আচরণের তীব্র নিন্দা করে রাজ্যসভায় গর্জে ওঠে গোটা তৃণমূল ব্রিগেড৷ আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ এই মিথ্যাচারের যোগ্য জবাব দেবেন, সাফ জানান তাঁরা৷

