নয়াদিল্লি : কী কাণ্ড, এ কী কথা বলে বসলেন বিজেপি সাংসদ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranaut)! প্রশ্ন উঠতেই পারে তাঁর শিক্ষার দৌড় নিয়ে। এতটা অশিক্ষিত হতে পারেন একজন সাংসদ? সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে তাঁর সদর্প মন্তব্য, রামজির নাম না থাকায় গান্ধীজিকে কীভাবে অপমান করা হল এখানে? মহাত্মা গান্ধী তো সমগ্র দেশকে একসুতোয় বাঁধার জন্য ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’ গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত করেছিলেন। তাই জিরামজি বিলে রামনাম যোগ করে মোদি সরকার তো আসলে গান্ধীজিরই স্বপ্ন পূরণ করলেন। কঙ্গনার (kangana ranaut) এই মন্তব্য নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া মাত্রই একদিকে যেমন উঠেছে সমালোচনা আর নিন্দার ঝড়, অন্যদিকে উঠেছে হাসির ঝড়ও। অনেকে হেসেই খুন। ক্ষমা চাওয়ারও দাবি উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, একজন সাংসদ হয়ে দেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কি কোনও ধারণাই নেই কঙ্গনার? কেউ বলছেন, এতটা অশিক্ষিত হতে পারেন একজন বিজেপি সাংসদ? কারও আবার শ্লেষাত্মক মন্তব্য, নতুন ইতিহাসবিদ কঙ্গনা। কেউ কেউ বলছেন, করুণা হয় হিমাচলের মাণ্ডির তারকা সাংসদের জন্য। বুধবার মধ্যরাত অবধি গড়িয়েছিল লোকসভায় জিরামজি বিল নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক। তারপরেই সংসদ চত্বরে এই বিল নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চান সাংবাদিকেরা। তখনই এমন হাস্যকর বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন বিজেপি সাংসদ।
আসলে মনরেগা প্রকল্প থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম বাদ দেওয়া ইস্যুতে এই বিজেপি সাংসদের আলটপকা মন্তব্য শুধু তাঁর শিক্ষার দৈন্য এবং অজ্ঞতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল না, ঘি ঢালল বিতর্কের আগুনে। তবে এই প্রথম নয়, বারবারই কঙ্গনার আজব মন্তব্যে উঠছে হাসির রোল। গভীর অস্বস্তিতে পড়ে যাচ্ছে মোদি-শাহের দল।
আরও পড়ুন-বাড়ি তৈরির পরেও মেলেনি জল-বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো সংকটে আবাস যোজনা

