প্রতিবেদন : কথায় কথায় আর সিবিআই-ইডি দেখানো চলবে না। যখন তখন রাজ্যপালের কাছে ছুটে যাওয়ার অভ্যাসও ছাড়তে হবে। বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতৃত্বকে একথা কড়া ভাষায় জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের বিবৃতি-সর্বস্ব নেতাদের যে আর রেয়াত করা হবে না, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। আসলে সুকান্ত-শুভেন্দুদের এই ধরনের আচরণ বাংলার মানুষ যে মোটেই ভালভাবে নিচ্ছেন না তা অনেক দেরিতে হলেও বুঝতে শিখেছেন দিল্লির গেরুয়া নেতৃত্ব। শূন্যে ঠেকেছে রাজ্য নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা। সংগঠনের হালও তথৈবচ। তাই দলের অস্তিত্ব বাঁচানোর তাগিদেই রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি তাঁদের এই কড়া হুঁশিয়ারি। বাংলায় গেরুয়া শিবিরের সাংগাঠনিক দেউলিয়া অবস্থা গভীর হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লির নেতাদের। তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, ফাঁপা সংগঠন এবং ফাঁকা বুলি দিয়ে বাংলার আমজনতাকে কোনওভাবেই বিভ্রান্ত করা সম্ভব নয়। তাই বাংলার গেরুয়া নেতাদের প্রতি তাঁদের স্পষ্ট নির্দেশ, আগে সংগঠন গড়ে তুলুন। তারপরে বিবৃতি দেবেন। ধারাবাহিক ব্যর্থতা। দিশাহারা বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার কোনও সুযোগই মিলল না গেরুয়া শিবিরের (BJP)। একের পর এক পরাজয়। বাংলার পুরনির্বাচনে প্রকৃত অর্থেই ধরাশায়ী বিজেপি। সাম্প্রতিকতম ধাক্কা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তার ঝড়ে প্রায় নিখোঁজ বিজেপি। পানিহাটি, দমদম, চন্দননগর–সহ ৬টি পুর-আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলেও উধাও পদ্ম। জনতার রায়েই স্পষ্ট, বাংলায় বিন্দুমাত্র গ্রহণযোগ্যোতাও গড়ে তুলতে ব্যর্থ সুকান্ত-শুভেন্দু। ফাঁকা বুলি আউড়ে তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রয়াস। গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য নেতাদের আচরণে শুধু ক্ষুব্ধই নয়, ভবিষ্যতের কথা ভেবে দিশাহারাও। বাঁচার তাগিদে তাই এমন সতর্কবার্তা।
আরও পড়ুন: নির্মলার মুখে ঘোড়া কেনাবেচা!