প্রতিবেদন : জয়দেব দাসের নেতৃত্বে ৩৩ জন নেতা ও ৫৫০-র বেশি কর্মী বৃহস্পতিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকে বিজেপির পার্টি অফিস বলে কিছু রইল না। বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডল অফিস বলে যেটি পরিচিত ছিল তা এখন গোকুলনগর তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কার্যালয়ে পরিণত হল। শুক্রবার রাতেই জয়দেব দাসের নেতৃত্বে তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ৩৩ জন নেতা বিজেপি থেকে দলে যোগ দেওয়া তৃণমূল কর্মীরা সকলে মিলে ওই পার্টি অফিস থেকে মোদি-শাহ-শুভেন্দুর সব ছবি সরিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন-নিয়োগে কেরলের বাম মেয়র দলের তালিকা চাইলেন শীর্ষ নেতার কাছে
ওই পার্টি অফিসে যোগী আদিত্যনাথের বিশাল কাট আউট ছিল, তা-ও সরিয়ে দেন তাঁরা। এ-ছাড়া সেখানে যত বিজেপির ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন-পতাকা ছিল সব সরিয়ে ফেলা হয়। সেখানে লাগানো হয়েছে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের ছবি দেওয়া ব্যানার ও ছবি। এ-ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এই কার্যালয়।
আরও পড়ুন-ব্রহ্ম যখন নারী
তৃণমূল নেতা জয়দেব দাসকে যখন ফোনে ধরা গেল তখন তিনি নন্দীগ্রামে কর্মীদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করছেন। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সংগঠনকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায় তা নিয়েই দলীয় সতীর্থদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাঝেই বললেন, এটা নন্দীগ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা-উদ্দীপনাতেই হয়েছে। কর্মীরা তাঁদের আবেগেই পার্টি অফিসে পরিবর্তন করেছেন। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তারা বিজেপির প্রতি ঘৃণা ছুঁড়ে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে বরণ করে নিয়েছে। এই পার্টি অফিস তার প্রমাণ। তাঁর সংযোজন, আমরা সকলে দলে যোগ দেওয়ার পর কর্মীরাই পার্টি অফিস থেকে বিজেপির সবকিছু সরিয়ে দিয়েছে। আমি পরে এসে দেখলাম। খুশি হয়েছি এটা দেখে যে, সাধারণ মানুষ ও কর্মীরা আমার সঙ্গে রয়েছে। তা না হলে এটা সম্ভব হত না। আমি একা পারতাম না।