সংবাদদাতা, আসানসোল : ইসিএলের নর্থ সিহাড়শোল খোলামুখ খনি এলাকায় সিআইএসএফের তাড়া খেয়ে সাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে শুক্রবার বেআইনি খনির র্যাট হোলে পড়ে যান মহাবীর খনি এলাকার বাসিন্দা ভীষ্ম রায় (৩৮)। স্থানীয় মানুষজনই প্রথমে দেখতে পান। খনিটি প্রায় ১২০ ফুট গভীর ছিল। স্থানীয় এক যুবক সাহস করে দড়ি বেঁধে ১২০ ফুট গভীরে নেমে সাইকেলটি উদ্ধার করতে পারলেও ভীষ্ম রায়ের খোঁজ পাননি। খনিগর্ভে জল ছিল। অনুমান করা হয়, জলে তলিয়ে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল এসেও কিছু করতে না পেরে ইসিএলের মাইনস রেসকিউ দফতরে খবর দেয়। মাইনস রেসকিউ টিম যন্ত্রপাতি-সহ উদ্ধারকাজে আসে। বিষাক্ত গ্যাস থাকতে পারে ওই পরিত্যক্ত খনিতে ভেবে প্রথমে খনির ভিতরে না নামলেও। শেষ পর্যন্ত রাতে ক্রেনে চেপে খাদের নীচে নামেন মহম্মদ শাহজাহান খান৷ তিনি কাঁটা দিয়ে খুঁজে ভীষ্ম রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। প্রশ্ন উঠছে, কেন মাইনস রেসকিউ টিম নিচে নামল না উদ্ধারকাজে। তাড়াতাড়ি উদ্ধারকাজ শুরু করলে হয়তো জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যেত। ইসিএলের মাইনস রেসকিউয়ের প্রাক্তন চিফ ম্যানেজার সত্যব্রত সরকার জানান, নিয়মের বেড়াজালে নানা অন্তরায় থাকে। এক্ষেত্রে খনির ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস বা ধসজনিত দুর্ঘটনা করতে পারে। এছাড়াও রেসকিউ টিমের যন্ত্রপাতি নিয়ে পরিত্যক্ত, অজানা খনিতে নামা যায় না। সেই কারণেই উদ্ধারকাজ করা যায়নি।