সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: ভুটান থেকে উত্তরবঙ্গে নেমে আসা নদীগুলির প্রভাব মোকাবিলায় ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনের দাবি জানিয়েছিল রাজ্য। সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে এই প্রস্তাব তোলেন কিন্তু কেন্দ্র খারিজ করে। এর জেরে একের পর এক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে উত্তরকে। গত অক্টোবরেই ভুটানের নদীর জলে ভেসেছে উত্তর। এবার ভুটান সীমান্তের ওই খরস্রোতা নদীর গ্রাস থেকে লাগোয়া উত্তের গ্রামগুলি বাঁচাতে উদ্যোগ নিল রাজ্য। বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর সিদ্ধান্ত
প্রতিবছরই নিয়ম করে সংকোশ নদী, ভুটান থেকে নেমে আসা জলরাশির ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে নদীগর্ভে নিয়ে যায় বিত্তিবাড়ি গ্রামের বিঘের পর বিঘে জমি। আর উপরি পাওনা হিসেবে প্লাবিত করে পুরো গ্রামকে। বাম আমলে এই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে দুয়োরানির মতো আচরণ ছিল রাজ্য সরকারের। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হতেই, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতে শুরু করে গ্রামের বাসিন্দাদের। এই ব্লকের বাসিন্দা রাজ্যসভার সাংসদ তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক, গ্রামের বাসিন্দাদের যন্ত্রণার কথা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন, এই গ্রাম বাঁচানোর স্বার্থে। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ কাটতে শুরু করে বিত্তিবাড়ির বাসিন্দাদের। গতবছর আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ওই গ্রামের সংকোশ নদীর তীর বরাবর ৫০০ মিটারের একটি গ্রাম রক্ষাকারী বোল্ডার বাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। নিয়ম করে এবারের বর্ষাতেও বিত্তিবাড়িতে নদী ভাঙন হয়েছে ও গ্রামে বন্যাও হয়েছে, তবে তার প্রকোপ ছিল অনেকটাই কম, নতুন ওই বাঁধের কারণে। রবিবার ফের একবার বিত্তিবাড়ি গ্রামেরই অন্য একটি অংশে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সংকোশ নদীকে শাসন করতে ৭০০ মিটার বোল্ডার বাঁধের কাজের সূচনা করেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক। বাঁধের এই অর্থমঞ্জুরের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রকাশ। আর নতুন বাঁধের কাজ শুরু হওয়াতে, খুশি গ্রামের বাসিন্দারাও।

