সংবাদদাতা, কাটোয়া : রাস্তায়, অলিগলিতে ছড়িয়ে থাকা দেশি সারমেয়দের রাগ, অনুরাগ, অভিমান, অপত্য স্নেহ, লালনপালন-সহ আচরণের নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করে বিশ্বের নানা প্রান্তের গবেষকদের তারিফ কুড়িয়েছেন রাজ্য সরকারের ‘শিক্ষারত্ন’ কাটোয়া স্টেডিয়াম পাড়ার বাসিন্দা জীববিজ্ঞানী সুনীল পাল। অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য বিদেশের তরুণ গবেষকরা তাঁর কাটোয়ার বাড়িতে দিনও কাটিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুজোর আগেই পোশাক পড়ুয়াদের
কুকুরের আচরণ ও জীবনযাত্রা নিয়ে গবেষণায় মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়ানো গবেষণার খরচ জোটাতে হয় পকেট থেকে। তিনি বলেন, ‘বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও সাড়া পাইনি। বিদেশে যাই আয়োজক সংস্থা বা উৎসাহী প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্যে। কেন্দ্রকে বলেও কোনও সদুত্তর পাইনি।’ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বহুবার ডাক পেয়েছেন। দেশি কুকুরের অপত্য স্নেহ বিষয়ে তাঁর গবেষণা নিয়ে আলোকপাত করতে ষাটোর্ধ্ব সুনীলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে গ্রিসের ম্যাসিডোনিয়ার ওহরিড বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন-প্রযোজক ও পরিচালক উত্তমকুমার
৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের ওই সেমিনারে যোগ দিতে প্রস্তুত সুনীল। সেখানে তুলে ধরবেন গর্ভধারিণীর মৃত্যু হলে মা-হারা সন্তানদের ‘মানুষ’ করার দায়িত্ব মানুষের মতোই নিজের কাঁধে তুলে নেয় ‘অনাথ’ সারমেয়দের দিদা, মাসি,দিদি-সহ নিকটাত্মীয়রা। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক আলোচনা মঞ্চে অ্যাপ্লায়েড অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ারাল সায়েন্স নিয়ে শুরু। ইনটারন্যাশনাল জার্নাল অফ জুলজি-র মতো মত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ২২টি মৌলিক গবেষণাপত্র। জাপান, আয়ারল্যান্ড, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, চিনের আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশি কুকুরের আচরণের নতুন নতুন দিক তুলে ধরে প্রশংসিত হন কাটোয়া ভারতী ভবন উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুনীল পাল।