অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : কেন্দ্রের সাধারণ আর্থিক বাজেটে ইস্পাতের দাম অনেকখানি বাড়ানোর প্রস্তাব পরোক্ষে ইস্পাত শিল্পে চরম সর্বনাশেরই ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। ইস্পাতের দাম বৃদ্ধির ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি ইস্পাত কারখানাকে পুরোপুরি পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেবে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই জনবিরোধী বাজেট প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল মূলত ইস্পাতনির্ভর শিল্পের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-গোল-উৎসব ব্রাজিলের,জয় পেল আর্জেন্টিনাও
এই দুই শহরেই রয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত, মিশ্র ইস্পাত, ইস্কোর মতো বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি বেশ কিছু মাঝারি মাপের ইস্পাত কারখানা। তিনি বলেন, ইস্পাতের দাম বৃদ্ধি মানেই পরিষেবা শিল্পের উপরেও দানবীয় আঘাত। কারণ সাধারণ মানুষ ঘরবাড়ি বানাতে গিয়ে বিশাল ধাক্কা খাবেন। এমনিতেই করোনা জনিত কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেকখানি হ্রাস পেয়েছে। ইস্পাতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় যেসব বেসরকারি ছোট যন্ত্রাংশের কারখানা এই কোভিড পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, সেই সব শিল্পেও ঘনিয়ে আসবে গভীর অন্ধকার।
আরও পড়ুন-শিক্ষাক্ষেত্রে বেহাল দশা কেন্দ্রের তথ্যেই স্পষ্ট
অভিজিৎবাবু বলেন, মোদি সরকার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে এঁটে উঠতে না পেরে এবার ভাতে মারার ষড়যন্ত্র করছে। কারণ সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে সর্বাধিক লৌহ ইস্পাত নির্ভর শিল্প। আর সেই কারণেই এই ঘৃণ্য চক্রান্ত করা হয়েছে। ওই শ্রমিক নেতা আরও বলেন, এ রাজ্যে উৎপাদিত ইস্পাত ভারতের বাইরেও বহু দেশে রফতানি করা হয়ে থাকে। ইস্পাতের দাম বাড়ানোয় সেই রফতানি নীতিতেও বিশাল বড় ধাক্কা আসবে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিজিৎবাবু ।