কেন্দ্র বাংলার সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে ঘাটালের মানুষ বিচার করুন : মানস

প্রতি বছর নিয়ম করে বর্ষা এলেই বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষজমি ও সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি থেকে রাস্তাঘাট।

Must read

সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর : দীর্ঘ কয়েক দশকের দাবি ছিল, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার অধিবাসীদের ফি বছর বন্যার হাত থেকে বাঁচতে তৈরি হোক ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান! প্রতি বছর নিয়ম করে বর্ষা এলেই বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষজমি ও সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি থেকে রাস্তাঘাট। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরির উদ্যোগ নিলেও এখনও পর্যন্ত অর্থবরাদ্দ করছে না, এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। যার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়াও হয়েছে সেচ দফতরকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রাথমিক কাজ শুরু করার জন্য।

আরও পড়ুন-জলের প্ল্যান্ট নিয়ে বিধায়কের আর্জি বিবেচনা করছে রাজ্য

সেইমতো শুরুও হয়ে গিয়েছে স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ। সেচমন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা-বিরোধী। তাই তারা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা আটকে রাখছে। আর রাজ্যের বিজেপি নেতারা বলছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নাকি আমরা করতে চাই না। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। ঘাটালের মানুষ বিচার করুন, কাদের সঙ্গে আপনারা থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে তাঁর রাজ্যের কোষাগার থেকে অর্থবরাদ্দ করে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কোনও টাকা দেওয়া হবে না। এটাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথামতো রাজ্য বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী দেড় হাজার কোটি টাকায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করবেন। বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য লোন নিতে গেলে কেন্দ্রের অনুমোদন লাগে, এক্ষেত্রেও কেন্দ্র সাহায্য করছে না। আমরা তো কাজ করতে চাই, ওরা কাজ করতে দেয় না।

Latest article