প্রতিবেদন : ভাল আছে জিনাত! আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipur Zoo) পশু-চিকিৎসালয়ের কোয়ারেন্টাইন রুমে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে সিমলিপালের বছর তিনেকের বাঘিনি। তবে ২৪ ঘণ্টাতেও পুরোপুরি কাটেনি আচ্ছন্ন অবস্থা। বিশেষ খাঁচায় বন্দি জিনাত মাঝেমধ্যেই উঠে বসছে, নির্দিষ্ট খাবার খাচ্ছে। ফের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে সে। আপাতত এভাবেই কয়েকদিন জিনাতকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। রবিবার তাকে বাঁকুড়ার গোসাঁইডিহিতে ট্র্যাঙ্কুলাইজার দিয়ে কাবু করেছেন বন দফতরের কর্মীরা। সোমবার সন্দেশখালি থেকে ফেরার পথে ডুমুরজলার হেলিপ্যাডে সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে জানিয়েছেন, রবিবার বন দফতরের কর্মীরা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সমন্বয়ে খুব সুন্দরভাবে বাঘটিকে ধরতে পেরেছে। বাঘটি এখন ভাল আছে। সুস্থ আছে। এদিন সন্ধ্যায় জিনাতের ভিডিও পোস্ট করে সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বনবিভাগের পূর্ণ তত্ত্বাবধানে বাঘিনি জিনাত এখন ভাল আছে। আমাদের বন দফতর সর্বদা তার খেয়াল রাখছে।
আরও পড়ুন-ফিরতি ডার্বি হচ্ছে না যুবভারতীতে, ঘোষণা ক্রীড়ামন্ত্রীর
দিন দশেক আগে ওড়িশার সিমলিপাল থেকে ঘরছাড়া হয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগ্রেস জিনাত। তারপর থেকে একসপ্তাহ ধরে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার পাহাড়-জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছে সে। একাধিক জায়গায় তাড়া খেয়ে পালাতে হয়েছে তাকে৷ অবশেষে রবিবার মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষা রানিবাঁধ ব্লকের বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের কাছে গোসাঁইডিহিতে বাগে আসে সে। বিকেল ৩টে ৫৮ মিনিটে বনকর্মীদের ঘুমপাড়ানি গুলি খেয়ে কাবু হয় জিনাত। তারপর রবিবারই বিশেষ কনভয়ে করে রাত ১২টা ১০ নাগাদ গ্রিন করিডর করে জিনাতকে নিয়ে আসা হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়।
১০ দিন ধরে বাংলার জঙ্গলে ঘুরে স্বভাবতই ক্লান্ত বাঘিনি জিনাত। তাই তার জন্য আগে থেকেই আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে সঠিক খাবার এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা করেছিল বন দফতর। মধ্যরাতে জিনাতকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিকিৎসা৷ ওড়িশার বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলার পশু-বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চলছে জিনাতের দেখভাল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের প্রয়োজন হয়নি। বন দফতর সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ সুস্থ করে তবেই জিনাতকে ফেরত পাঠানো হবে ওড়িশায়। বিশেষজ্ঞরা জিনাতকে সম্পূর্ণ সুস্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার পরই সে কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেবে।