সংবাদদাতা, দিঘা : পর্যটন মানচিত্রে বরাবরই অন্যতম স্থান সৈকত সুন্দরী দিঘার। আগামী বছর দিঘায় বাড়তি আকর্ষণ হতে চলেছে জগন্নাথ মন্দির। তার আগে শুক্রবার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের খোঁজখবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। তবে জেলা বা রাজ্যে তেমন বিরাট প্রভাব না পড়লেও মুখ্যমন্ত্রীর সাধের জগন্নাথ মন্দির ঘূর্ণিঝড়ের মাঝে কেমন রয়েছে সে ব্যাপারে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির কাছে জেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির গড়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন ছিল।
আরও পড়ুন-বিধানসভা ভোটে জেলার সব আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অনুব্রত
সেই অনুযায়ী ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার মাঝে দিঘা স্টেশন লাগোয়া রাস্তার ধারেই ভগিব্রহ্মপুরে ২৫ একর জমির ওপর অনিন্দ্যসুন্দর জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। এই কাজের জন্য ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী দিঘার অন্যতম আকর্ষণ হতে চলা জগন্নাথ মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য আগামী বছর রথের আগেই খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে জিজ্ঞেস করেন, ‘দিঘায় আমার জগন্নাথ মন্দির ঠিক আছে তো?’ উত্তরে জেলাশাসক জানান, মন্দির একদম ঠিক আছে। মন্দিরের কাছে একটি বড় ক্রেন ছিল। ঝড়ের আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। না হলে ক্ষতি হতে পারত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এগুলো নিয়ে এখন থেকেই এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে বিপর্যয় হলেও গায়ে না লাগে। দিঘায় অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। অনেক পর্যটক যান ওখানে। দিঘা-তমলুক রেললাইন আমার সময় করে দেওয়া। আমরা মেরিন বিচের মতো দিঘা সৈকত সরণি যেটা করেছি সেটা যদি কোথাও ভেঙে গিয়ে বা কাদা জমে থাকে মেনটেনেন্স করতে হবে।