আজ, বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে (Balurghat) দলীয় প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রায়গঞ্জের পর ফের বালুরঘাট থেকে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। এদিন মঞ্চ থেকে তিনি স্পষ্ট জানান, ”মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার তৈরি হলে আগামী দিনে দেশে ভোটদানের মতো বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আর থাকবে না।” তিনি বলেন, “বিরোধী দেখলেই জেলে ভরছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় জায়গা এখন জেল। ফের ক্ষমতায় এলে নির্বাচন বলে আর কিছু থাকবে না। বিরোধীদের সবাইকে জেলে ভরে বিজেপি ভোট ব্য়বস্থাটাকেই তুলে দেবে। বাকিদের এনআরসি করে দেশ থেকে তাড়াবে। বালুরঘাটের নাম বলতে পারে না। বলে বেলুরঘাট। এখানে যে সাংসদ ছিলেন, তার নামটাও ঠিক করে বলতে পারেনি। নরেন্দ্র মোদীর এত বড় সাহস! বলছে বেছে বেছে সবাইকে জেলে ভরবে! আরে বেছে বেছে জনতা তোমাকে ভোট দেবে না। হিম্মত থাকলে কাজ করে ভোট নাও। সাফল্য দেখিয়ে ভোট নাও। ১০ বছরে কী কাজ করেছ, তার রেকর্ড দেখাও।”
আরও পড়ুন-বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা
সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে জগাই, মাধাই, গদাই বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি হল জগাই-মাধাই-গদাই। ওদের একটা ভোটও দেবেন না। সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। ওরা পঞ্চায়েতে একসঙ্গে কাজ করে। বিধানসভায় একসঙ্গে কাজ করে। বাংলায় একসঙ্গে কাজ করে। কেরলে কংগ্রেস- সিপিএমে লড়াই। আর বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএম ভাই ভাই। কী দোস্তি! কোথাও দোস্তি, কোথাও মস্তি। আমরা এ সব করি না। এখানকার সাংসদ, বিজেপির প্রার্থী নিজেই তো দিল্লিতে গিয়ে বারে বারে বলেছেন, বাংলার টাকা বন্ধ করে দাও। তারপরও ওকে ভোট দেবেন? এবারে আর বিজেপি নয়, ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বেই সরকার হবে, আর সেই সরকারকে বাংলা থেকে নেতৃত্ব দেব আমরা, বিজেপিকে ঠেকাতে পারে কেবল তৃণমূল।”
আরও পড়ুন-ভারতে বেবি-ফুড তৈরিতে নেসলের আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘন
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ওরা বলছে দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ দাও। বার বার বলেছি, বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র— চার রাজ্যের দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করে দেখাও কোথায় কত দুর্নীতি হয়েছে, কত মহা দুর্নীতি হয়েছে। বাংলায় দুর্নীতি হয়নি। লোকালি কয়েক জন বদমায়েশি করেছিল, আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। আর অন্য কেউ পারবে না। বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে চলে গেল। কী কাজ করেছে ওরা? টাকা বন্ধ করেছে। আর বিনা পয়সায় রেশন আমরা দিয়েছি। স্বাস্থ্যসাথী আমরা দিয়েছি। কন্যাশ্রী আমরা দিয়েছি। রূপশ্রী আমরা দিই। লক্ষ্মীর ভান্ডার আমরা দিই। চা-বাগানের পাট্টা আমরা দিই। তফসিলি ভাতা আমরা দিই। কাজ আমরা করেছি আর ভোটটা নিয়ে চলে গেল সু বাবু।’’