কন্যাশ্রীর ১১ পূর্তি, স্বপ্নপূরণের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রীর এই সামাজিক প্রকল্প ইউনেস্কো থেকে শিরোপাও পেয়েছে। ২০১৩ সালের ১৪ অগাস্ট প্রথমবার রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়।

Must read

প্রতিবেদন : এক দশক পার করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। বুধবার সকলেই আরও রাজ্যের মেয়েদের রক্ষার জন্য তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, আমার সরস্বতী কন্যাশ্রী ভবিষ্যতের ভাগ্যশ্রী, আমার সরস্বতী আঁধারেও আলো, সারা বিশ্বে বিশ্বশ্রী। আজ কন্যাশ্রী দিবস। আমার প্রত্যেক কন্যাশ্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে রাজ্যের সব মেয়ে এখন কন্যাশ্রী! তোমরা এগিয়ে যাও। নিজের নিজের স্বপ্ন পূরণ করো। তোমাদের যে কোনও দরকারে আমি তোমাদের পাশে আছি। ইউনেস্কোতে সেরার শিরোপা পেয়ে সেই কন্যাশ্রী আজ বিশ্বজয়ী।

আরও পড়ুন-দোষীদের শাস্তি হোক, ফাঁসি চাই, তবে বাম-রামের কুৎসাও রুখবই

মুখ্যমন্ত্রীর এই সামাজিক প্রকল্প ইউনেস্কো থেকে শিরোপাও পেয়েছে। ২০১৩ সালের ১৪ অগাস্ট প্রথমবার রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। তারপর প্রতি বছর এই দিনে বাংলায় কন্যাশ্রী দিবস পালন করে থাকে সরকার। এই দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কৃতীদের সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ ধনধান্য স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপন করা হয়। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প সারা বিশ্বে বন্দিত। অর্থনৈতিকভাবে পিছয়ে পড়া মেয়েদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত গ্রামে-গঞ্জে বা প্রত্যন্ত এলাকায় ১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা ছিল। সেক্ষেত্রে মেয়েদের লেখাপড়া তো দূর-অস্ত্ স্বাস্থ্যেরও খুব ক্ষতি হত। মেয়েদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা রাজ্যে এখন ৮৭ লক্ষেরও বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রীর আওতায় রয়েছেন। বেস্ট পারফর্মিং জেলা হিসেবে আজ পুরস্কার পাবে উত্তর দিনাজপুর। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের আওতাধীন কন্যারা বছরে ৫০০ টাকা এবং ১৮ বছর হয়ে গেলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে পায়।

Latest article