প্রতিবেদন : একশো বছর ধরে বাংলার শিল্পক্ষেত্রে বটগাছের ভূমিকা নিয়েছে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। গত দেড় দশকে তৃণমূল সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় উৎসাহ পেয়ে বাংলার শিল্পকে আজও এগিয়ে নিয়ে চলেছে বিএনসিসিআই। সোমবার সংগঠনের ১৩৮তম বার্ষিক সাধারণসভায় রাজ্যের তরফে তাঁদের আরও সহযোগিতার বার্তা দিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। একইসঙ্গে বাংলার শিল্পকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়ায় আরও উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিন কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত বিএনসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণসভায় সংগঠনের তরফে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের সহযোগিতার ও শিল্পে উন্নয়নের বার্তা তুলে ধরা হয়। রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রের বাতাবরণে পালাবদলের বার্তা দিয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, রাজ্য সরকারের কাজ নীতি ঘোষণা করা যা সহায়ক হিসাবে দাঁড়াবে ব্যবসা বাণিজ্য। রাজ্য সরাসরি ব্যবসার মধ্যে থাকবে না। সরকার বাণিজ্যকে উৎসাহ দেবে। এবং সেই উৎসাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। অনেক কুৎসা শুনবেন। কিন্তু ২০১১-র চিত্র আপনাদের মতো প্রতিষ্ঠান ভাল বুঝবে। কী ছিল? জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়নিজম। ফ্যাক্টরিগুলোতে তালা পড়া। অনেক বড় প্রতিষ্ঠান কীভাবে হেনস্থা হয়েছে। বনধ, কর্মবিরতি, ধর্মঘট ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগুলোকে বন্ধ করেছেন। সমস্যা থাকে। সেগুলো আপনারা যখন বলছেন সরাসরি গ্রিভান্স পোর্টালে দিচ্ছেন। আমরা সরাসরি কথা বলে চেষ্টা করছি সেগুলোকে জটিলতামুক্ত করতে।
আরও পড়ুন-মহিলা বিধায়কের বিরুদ্ধে অপপ্রচার! সুকান্তর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন লাভলি মৈত্র
অন্যদিকে, সংগঠনের শতবর্ষের ইতিহাস মনে করিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, স্বদেশিয়ানা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিক থেকে ব্রিটিশ অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার জমিটা আপনাদের এই বণিকসভার মাটি থেকেই তৈরি হয়েছিল। ফলে বিএনসিসিআই-এর ইতিহাসের সঙ্গে বাংলার শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনীতির একটা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে, যা পরোক্ষভাবে সামগ্রিক স্বাধীনতা সংগ্রামকে উজ্জীবিত করেছে। পায়ের তলার জমি তৈরি করে দিয়েছে।