রিতিশা সরকার, দার্জিলিং : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কৃতিত্বে গণতন্ত্র ফিরেছে পাহাড়ে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে মরিয়া সমস্ত রাজনৈতিক দল। পাহাড়ের ইতিহাসে এ যেন এক নতুন অধ্যায় তৈরি হল। কারণ পাহাড়ের নির্বাচন মানেই এতদিন ছিল হিংসা, অশান্তি। এবারের দার্জিলিং পুর নির্বাচনে হিংসার ছিটেফোঁটা নেই। দীর্ঘ এক মাস শান্তিপূর্ণভাবেই প্রচার চালিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। কোন দলই কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি। প্রচারেও পাল্লা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। তবে পাল্লা এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে। কারণ উন্নয়ন, মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতা। কিছুদিন আগেও অশান্ত পাহাড়ে হিংসার বুলি ছুটেছে ম্যাল থেকে চকবাজার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বারবার পাহাড়ে ছুটে যাওয়ায় রূপ পাল্টেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। শৈল শহরের মুখে ফুটেছে একরাশ হাসি।
আরও পড়ুন – আশ্বস্ত করলেন অসহায় শ্রমিক পরিবারদের, বাগান খুলতে উদ্যোগী তৃণমূল নেতা
মুখ্যমন্ত্রীর ফোটানো হাসি ধরে রাখতে চায় পাহাড়ের রানি দার্জিলিং। তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অলক চক্রবর্তী বলেন, পাহাড়ের সাধারণ মানুষ অনুভব করেছেন, গণতন্ত্র কাকে বলে। সেই কারণেই নির্বিঘ্নে সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রচার করতে পেরেছে। এখন নির্বাচনে পাহাড়বাসী তাঁদের মত দান করবেন। ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি বলেন, কোনও অশান্তি হবে না, নির্বিঘ্নে ভোটপর্ব মিটবে। মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রসায়ন ভিডিওরও মত তাই। শান্তিপূর্ণ ভোট হবে এবার পাহাড়ে।