প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে জঙ্গলমহলের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাপনের মানে এসেছে আমূল পরিবর্তন। একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই গতিশীল ও স্বচ্ছ প্রশাসন চেষ্টা করেছে মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে সমস্যার সমাধানের। এবার জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের জীবিকার নতুন দিশা দেখান মুখ্যমন্ত্রী। খুলে গেল রোজগারের নতুন পথ। যে জঙ্গলমহলে বাম জমানায় বেলপাহাড়ি থেকে বাঁশপাহাড়ি বিস্তীর্ণ এলাকার আদিবাসী মানুষ পিঁপড়ের ডিম খেয়ে পেট চালাতেন, ঘটে গিয়েছিল আমলাশোলে অনাহারে মৃত্যুর মতো ঘটনা, সেই জঙ্গলমহল এবং লাগোয়া এলাকায় এখন লেগেছে উন্নয়নের আলো। মা-মাটি-মানুষের সরকার বদলে দিয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের জীবনকাহিনি। এখন রেশনে তাঁরা বিনা পয়সায় চাল পান। পান অন্যান্য নানা খাদ্যসামগ্রী। বিড়ি শিল্পের একান্ত প্রয়োজনীয় কেন্দুপাতা (Kendu Leaves) জঙ্গলমহলের প্রান্তিক অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। মুখ্যমন্ত্রী সেই অর্থনীতিতে বুধবার জোগালেন নতুন অক্সিজেন। ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এখন থেকে কেন্দুপাতার ন্যূনতম মূল্য হবে ১৭০ টাকা। যা এতদিন পর্যন্ত ছিল ৭৫ টাকা। অর্থাৎ, দ্বিগুণেরও বেশি দাম পাবেন জঙ্গল থেকে পাতা তুলে আনা গরিবগুর্বোরা। এই কেন্দুপাতার আড়াই কেজির বান্ডিলের বাজারমূল্য ছিল ১৩৬ টাকা। অর্থাৎ, বিড়ি মালিকরা কিনতেন এই দামে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী গরিবদের হাতে বেশি অর্থ দিতে দায়বদ্ধ। তাই তাঁর ঘোষণা, এখন থেকে ওই আড়াই কেজি পাতার বান্ডিলের দাম হবে ১৭০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, প্রান্তবাসী মানুষজনের জন্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে একাধিক সরকারি প্রকল্প। আদিবাসীরা এখন স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা, কৃষকভাতা-সহ নানান প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। কেন্দুপাতার (Kendu Leaves) দামে বিপুল বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে বদলে দেবে শাল-পিয়াল ছাওয়া টাঁড়টিকরের রোজকার যাপনচিত্র।
আরও পড়ুন: এভাবে হয় না, আর কবে বুঝবেন?