মুখ্যমন্ত্রী সঠিক! বিজেপি নেতাদের ও দিল্লি পুলিশের মুখোশ খুলে আক্রান্ত পরিবারের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস

আসল ভিডিও তুলে ধরে মুখোশ খুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিঠ বাঁচাতে মিথ্যে ভিডিওর আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি ও অমিত শাহর দিল্লি পুলিশ

Must read

আসল ভিডিও তুলে ধরে মুখোশ খুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিঠ বাঁচাতে মিথ্যে ভিডিওর আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি ও অমিত শাহর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। এবার সেই নির্যাতিত পরিবারকে প্রকাশ্যে এনে বিজেপি নেতাদের ও দিল্লি পুলিশের মুখোশ খুলে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রমাণ করে দিল মিথ্যাচার। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হল তৃণমূলের তরফে, মুখ্যমন্ত্রীই সঠিক কথা বলেছিলেন।

আরও পড়ুন-পরিবারের অনুমতিতে রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ড এবার সিনেমার পর্দায়

মালদহের নির্যাতিত পরিবার নতুন করে স্পষ্ট করে দিয়েছে, ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে বাঙালিদের বিরুদ্ধে কী চক্রান্ত চালাচ্ছে বিজেপি। দোসর পুলিশ। সেই ভিডিও তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির নিচ চক্রান্ত। হালে পানি না পেয়ে সেই ভিডিও ভুয়ো দাবি করে আবার দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। এবার সব সত্য প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল।

দিল্লির ঘটনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে সব নিয়ে আসার পরই কীভাবে পিঠ বাঁচাতে নেমেছে বিজেপি, তা বলতে গিয়ে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন কীভাবে দিল্লির উপকণ্ঠে সন্ত্রাস চলছে বাংলাভাষী ভারতীয়দের উপর, সারা দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যে যে অত্যাচার চলছে তা এতটাই ঘৃণ্য ও নিম্নরুচির জায়গায় চলে গিয়েছে। এরপরে বিজেপির কয়েকজন বলার চেষ্টা করেছে সেটা না কি ভুল। দিল্লির পুলিশকে দিয়ে বলানো হচ্ছে সেটা না কি ভুল। আমরা জানাচ্ছি সেই পরিবারটি আমাদের সঙ্গে সব সত্য প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে নড়বড়ে শিক্ষার ভিত! বানান শেখাতে হিমশিম সরকারি স্কুলের শিক্ষক

সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার পরিবার যে সত্যি তুলে ধরেছে তাতে আরও স্পষ্ট হয়েছে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি। যে ভিডিওকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি ও দিল্লি পুলিশ, তাদের আরও কীর্তি ফাঁস করে কুণাল ঘোষ জানান, সামিরুল ইসলাম ও মৌসম বেনজির নুর তাঁদের প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে আসা বলতে যা বোঝায় সেভাবে ফিরিয়ে এনেছে। সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে এসে পৌঁছায়। প্রথমে অত্যাচার করেছে। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রতিবাদ করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে হুমকি শুরু হয়ে গিয়েছে, এগুলো তোমরা বাইরে বলবে না।

বাংলা বললেই যে প্রতিহিংসা বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলি চালিয়ে চলেছে গত কয়েক মাস ধরে, সেই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও বাংলাদেশি তকমা লাগাতে পিছপা হয়নি। সেই বিজেপির কাছে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রশ্ন, এদের কাছে এমন কথাও শুনলাম যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বাংলাদেশি বলা হয়েছে। আমরা যারা বাংলায় কথা বলি, তারা ভারতীয় কী ভারতীয় নয়, সেই ব্যাখ্যা অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির কাছে দাবি করি। রাজ্যের মন্ত্রী দাবি করেন, বিজেপির সরকার কঠোরপন্থী ভাবধারায় ভারতকে ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলার মানুষ কখনই সেই অভিসন্ধি সফল হতে দেবে না।

আরও পড়ুন-১৫ বছরেই বেহাল দশা! ভেঙে ফেলা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন

দিল্লি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা পরিবার বুধবারই কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। দিল্লি থেকে বাসস্থান উপার্জন ছেড়ে আসা পরিবারের পাশে সব রকমভাবে তৃণমূল নেতৃত্বকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মালদহের চাঁচোলে তাঁদের গ্রামে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা থেকে আইনত বাসস্থানের নথি তৈরি করে দেওয়ার কাজ করা হবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের তত্ত্বাবধানে। সাংসদ সামিরুল ইসলাম ও সাংসদ মৌসম নুর তাঁদের তত্ত্বাবধান করবেন।

Latest article