প্রতিবেদন : এবার প্রকাশ্যে রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীই তাঁর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। আচার্য হিসেবে তিনি রাজ্যপালকে মানেন না। সেই সঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, কথা বলার জন্য ফোন করলেও তাঁর ফোন ধরেননি রাজ্যপাল। আচার্য হিসেবে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর ভূমিকাকে তীব্র কটাক্ষ করে ব্রাত্য বসু বলেন, উনি শ্বেতহস্তীর মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। নিজের খেয়াল-খুশিমতো উপাচার্যদের নির্দেশ দিচ্ছেন। যখন-তখন উপাচার্যদের নিয়োগ করছেন। ২০২২ সালে বিধানসভায় বিল পাশ করে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও রাজভবনে সেই বিল এখনও অনুমতির জন্য পড়ে রয়েছে। সুতরাং এখন মুখ্যমন্ত্রীই নৈতিক ভাবে আচার্য, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন-রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা ফেরত দিন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব: শাহকে বিঁধে অভিষেক
বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে বেরিয়ে প্রথমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, তারপর বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল। সেখানে গিয়ে উপাচার্য-সহ অন্য অধ্যাপকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন। ঘুরে ঘুরে পরিকাঠামোও দেখেন। এই সব পরিদর্শনের পর একাধিক অনুদানের ঘোষণাও করেন রাজ্যপাল। এ-নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যে অনুদান উনি ঘোষণা করছেন, সেটা তো সরকারের টাকা। উনি কী ভাবে এবং কীসের ভিত্তিতে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এই ঘোষণা করতে পারেন? এই নিয়ে কথা বলার জন্য রাজ্যপালকে তিনি ফোন করলেও তাঁর ফোন ধরেননি রাজ্যপাল, এমনও অভিযোগ করেন ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বলেন, বিধানসভায় বিল পাশ হয়ে যাওয়ায় তাঁর কাছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নৈতিক আচার্য এখন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দেন, হয় উনি বিলে সই করুন না হলে ওই বিল ফেরত পাঠান। আমরা বিধানসভায় ওই বিল ফের পাশ করাব।