প্রতিবেদন : এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের (SLST Job Aspirants) সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বিতীয় বৈঠক থেকেই সমস্যা সমাধানে বিকল্প ফর্মুলায় কাজ শুরু হয়ে গেল। সময়সীমা বেঁধে সমস্যা সমাধানের পথে এগোচ্ছে সরকার। নির্দিষ্ট কোনও দিন ঘোষণা করা না হলেও চেষ্টা চলছে সবরকম আইনি পদ্ধতি মেনে দ্রুত জট ছাড়ানোর। আন্দোলনকারীদের তরফে এই অনুরোধ করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি ব্রাত্য বলেন, আমরা কোনও নির্দিষ্ট দিনের কথা বলছি না। জট ছাড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। আইনি পরামর্শ নিতে বলেছি। সমস্যার সমাধান করতে আন্তরিকভাবেই চাইছি। তবে একটা কথা বলতে পারি, গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা আশাবাদী। ছেলেমেয়েগুলি চাকরি পান এটা আমরা আন্তরিকভাবেই চাই। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা দু’বার বসলাম। আশা করছি জট খোলা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চান দ্রুত জট ছাড়িয়ে আইনি পদ্ধতি মেনে নিয়োগ সেরে ফেলা হোক।
শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ এসএলএসটি (SLST Job Aspirants) আন্দোলনকারীদের ৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবন পৌঁছন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন, এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, ছিলেন ল’অফিসাররাও। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন কুণাল ঘোষ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, যাবতীয় আইনি ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয়েছে। আশা করছি দ্রুত নিয়োগপত্র পেয়ে যাব।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, এদিনের বৈঠকে দু’পক্ষই বেশ কিছু বিষয়ে ঐক্যমতে এসেছেন। এই ধরনের জটিল বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে গেলে প্রতি মুহূর্তে আইনি পরামর্শের প্রয়োজন হয়। সেগুলি নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীও তাঁর দফতরের অফিসারদের আইনি পরামর্শ নিতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহমর্মিতা রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি। তিনি আন্তরিকভাবেই চান দ্রুত নিয়োগ দিতে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সব মিলিয়ে বিষয়টি ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে। নতুন করে কোনও আইনি জটিলতা যদি না আসে তবে দ্রুত প্রক্রিয়াগুলি শেষ করার চেষ্টা করা হবে। তবে এদিন বিরোধীদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার-শিক্ষা দফতর জট ছাড়িয়ে চাকরি দিতে তৈরি। আইনি জটিলতা কাটিয়ে সবদিক দেখেশুনে এগোতে হবে। কিন্তু গদ্দার-সহ বিরোধীরা চাইছে এই জট থাকুক। জটিলতা বাড়ুক। ধরনামঞ্চ খোলা থাক। তা না হলে ওরা রাজনীতি করতে কোথায় যাবে। ক্রমাগত উসকানি দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। তবে আমাদের সরকার যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু কথায় কথায় কোর্টে চলে গেলে বিষয়টি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাঁর সংযোজন, কোনও কোনও আইনজীবী ভুল বুঝিয়ে সব আটকে দেব বলে মামলা করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছে। তারা জানে জট ছাড়িয়ে রাজ্য সরকার নিয়োগ দিলে তাদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নিজেদের কায়েমি স্বার্থে এরা-সহ একশ্রেণির মানুষ সমস্যা জিইয়ে রাখতে চাইছে।