সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : জঙ্গিপুর মহকুমায় ১০ লক্ষের বেশি বিড়িশ্রমিক আছেন। চিকিৎসা পরিষেবায় এবার তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে পৃথক হাসপাতাল তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমবার লালবাগের প্রশাসনিক সভা থেকে। ফলে উচ্ছ্বসিত সভাস্থলে থাকা বিড়িশ্রমিকদের পরিবারের লোকজন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেক বিড়িশ্রমিক রয়েছেন। আমি জায়গা দেখে তাঁদের জন্য একটা হাসপাতাল করতে চাই। একটু সময় লাগবে। জমির জন্য কথাবার্তা বলছি। একটা ভাল মানের বিড়িশ্রমিক হাসপাতাল দু’বছরের মধ্যে আমি করে দেব। মনে রাখবেন, এই শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা আমরাই দিয়েছি। বিনা পয়সায় বিড়িশ্রমিকরা তাতে নাম লেখাচ্ছেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আশায় বুক বাঁধছেন জঙ্গিপুর মহকুমার, বিশেষত সূতি ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভার বিড়িশ্রমিকেরা। এই এলাকায় বেশ কিছু বড় বিড়ি শিল্পপতি রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই হাসপাতাল গড়ে তোলার সিদ্ধান্তকে তাঁরাও স্বাগত জানান। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আমরা সকলেই খুব আশাবাদী। সূতি এবং সামশেরগঞ্জে বিড়িশ্রমিকের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই দুই বিধানসভার মধ্যে কোথাও একটা হাসপাতালের জন্য জায়গা নির্বাচন করা হলে সবথেকে বেশি উপকার পাবেন শ্রমিকরা। আমরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে বাস্তবায়িত করার জন্য চেষ্টা চালাব।’ বিড়ি শিল্পপতি বাড়ির সদস্য তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমাদের সূতি বিধানসভায় বহু মানুষ বিড়ি বাঁধেন। তাঁদের কথা এর আগে কোনও সরকার ভাবেনি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কথা ভেবেই হাসপাতাল গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।’