প্রতিবেদন : এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ক্যাগ রিপোর্টের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাকে হেয় করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ বাকি সচিবরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ক্যাগ-এর রিপোর্ট অসংখ্য ভুলে ভরা ও যথেষ্ট অসঙ্গতিও রয়েছে। এককথায়, ক্যাগ-এর রিপোর্টে তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিল রাজ্য সরকার। বাংলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ খরচের শংসাপত্র বা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না করার অভিযোগ উঠেছে ওই রিপোর্টে। শুক্রবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, সিএজি রিপোর্টে বহু অসঙ্গতি রয়েছে। রাজ্য সরকার এই রিপোর্ট মানছে না।
আরও পড়ুন-ঐতিহাসিক বাজেট, পথ দেখাল রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ থেকে মিছিল শুরু তৃণমূলের
মুখ্যসচিব বলেন, সিএজি রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দফতরের অধীনে চলা কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সমস্ত প্রকল্পের ব্যবহারিক শংসাপত্র নিয়মমতো দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী কিস্তির টাকাও বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। কোনও প্রকল্পের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বকেয়া নেই। একই সঙ্গে ২০০২-’০৩ সাল থেকে যে সময়সীমার কথা ক্যাগ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তা নিয়েও মুখ্যসচিব বিস্ময় প্রকাশ করেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকার গত প্রায় দু’বছরে ৩৩৪টি পরিদর্শক দলকে রাজ্যে পাঠিয়েছে। তাঁরা যে-সমস্ত ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন তার জবাবও দিল্লিতে যথাসময়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যসচিব জানান।