মন্দারমণির হোটেল নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব

এখনই ভাঙা হচ্ছে না ১৪৪টি হোটেল

Must read

প্রতিবেদন : এখনই ভাঙা হচ্ছে না মন্দারমণির (Mandarmani) ১৪৪টি হোটেল। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরে না জানিয়েই হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে হোটেল ভাঙার খবর পৌঁছতেই হইচই পড়ে যায়। ওই অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে আছে এই হোটেল ও পর্যটনকে কেন্দ্র করে। হোটেল ভাঙা পড়লে মন্দারমণির অর্থনৈতিক চালচিত্র ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। সবদিক বিবেচনা করে এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, মন্দারমণির হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যসচিব। তিনি খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন হোটেল মালিকরা। সভাপতি মির মমরেজ আলি বলেন, এতগুলি হোটেল একসঙ্গে ভেঙে দেওয়া হলে কয়েক হাজার মানুষের রুটিরুজি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিষয়টি দেখার আবেদন জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টেও পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- কোর্টে খারিজ সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের পাঁচ পড়ুয়াও করবেন ক্লাস, দেবেন পরীক্ষা

মন্দারমণি (Mandarmani) সমুদ্র সৈকত দখলমুক্ত করতে ১৪৪টি নির্মাণ ভাঙার নোটিশ জারি করল পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা প্রশাসন। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ২০ নভেম্বরের মধ্যে সৈকতে গজিয়ে ওঠা নির্মাণ ভাঙার নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশ জারির পর মন্দারমণি হোটেল ব্যবসায়ীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
মন্দারমণি পর্যটনকেন্দ্রে সমুদ্র সৈকতে গড়ে উঠেছে একের পর এক হোটেল। রীতিমতো প্রাচীর দিয়ে একাধিক হোটেল তৈরির কাজও চলছে। ২০২২ সালের ২ মে জাতীয় পরিবেশ আদালত ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। উপকূলবিধি না মেনে সিআরজেড এলাকার মধ্যে হোটেলগুলি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিশ জারি করা হয়েছে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। পর্যটনের মরশুম শুরুর আগে এখন মাথায় হাত হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের।

Latest article