কোচ বলছেন পাপালি দলের পাশেই থাকে

উইকেটের পিছনে পাপালিকে না দেখে ফোন করেছিলেন। জবাবে যা শোনেন, তাতে মাথার উপর থেকে চিন্তার বোঝা নেমে গিয়েছিল জয়ন্ত ভৌমিকের।

Must read

প্রতিবেদন : উইকেটের পিছনে পাপালিকে না দেখে ফোন করেছিলেন। জবাবে যা শোনেন, তাতে মাথার উপর থেকে চিন্তার বোঝা নেমে গিয়েছিল জয়ন্ত ভৌমিকের। পাপালি তাঁকে বলেন, “চিন্তা নেই। স্টিফ নেক হয়েছে। ফিজিও বলল আজকের দিনটা তুমি বিশ্রাম নিলেই ভাল।”
পাপালি অর্থাৎ ঋদ্ধিমান সাহার কোচ জয়ন্তকে যখন ফোনে ধরা গেল, তার একটু আগেই ছাত্র ৬১ নট আউট থেকে মাঠ ছেড়ে বেরিছেন। জয়ন্ত বললেন, “ভারত যে জেতার মতো জায়গায় এল, সেটা পাপালির রানের জন্য। না হলে একশো রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল।”

আরও পড়ুন-রাহুল স্যার বলেন, টিকে থাকতে হবে

ইংল্যান্ড সিরিজে ম্যাচ পাননি ঋদ্ধিমান। তবে এই সিরিজে ঋষভ না থাকায় প্রথম এগারোর দরজা খুলে গিয়েছে। কিন্তু ঘাড়ের চোট সামান্য হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। ঋদ্ধিমানের ১২৬ বলের এই ইনিংস তাঁকে পায়ের তলায় জমি দিয়েছে। কিন্তু বারবার কেন ছাত্র পরীক্ষায় বসবে, সেটা তাঁর ছেলেবেলার কোচের প্রশ্ন। শিলিগুড়ি থেকে জয়ন্ত বলছিলেন, “ফিটনেস, পারফরম্যান্স ও ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে ও একশোয় একশো। তবু পাপালির জায়গা নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠবে? ও কেন সুযোগ পায় না, সেই প্রশ্ন তো ওঠে না। যখন যেমন দলের প্রয়োজন, পাপালি পারফর্ম করেছে। তবু ওকে বারবার শুধু দলের বাইরে থাকতে হয়!”

আরও পড়ুন-শ্রেয়স-ঋদ্ধি জুটিতে জয়ের হাতছানি

জয়ন্ত বলছিলেন, ঋদ্ধিমান এমন ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও খেলেছেন। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স প্রায়শই আড়ালে চলে যায়! এমনকী গণমাধ্যমে ছত্রিশের ঋদ্ধিমানের অবসর জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি। তাতেই আপত্তি ছেলেবেলার কোচের। তিনি বললেন, “ক’দিন আগে শোয়েব মালিক টি-২০ বিশ্বকাপে খেললেন। তাহলে ছত্রিশের ঋদ্ধিমানকে নিয়ে এত প্রশ্ন কেন?” ছাত্রের সঙ্গে জয়ন্তের প্রায় রোজই কথা হয়। ছাত্র তাঁকে বলেছেন, কে কী বলছেন তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। তবু জয়ন্ত নিজে ভীষণভাবে চাইছিলেন পাপালি ব্যাটে রান পাক। সেটাই হল রবিবাসরীয় কানপুরে।

Latest article