কলেজিয়াম কোনও ‘অনুসন্ধান কমিটি’ নয়, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া কটাক্ষ করল সুপ্রিম কোর্ট

উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য গঠিত সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কোনও ‍‘অনুসন্ধান কমিটি’ নয়।

Must read

প্রতিবেদন: উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য গঠিত সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কোনও ‍‘অনুসন্ধান কমিটি’ নয়। বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের দীর্ঘ গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এই মন্তব্য করেছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য কলেজিয়াম দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছিল কিন্তু এখনও সরকারি অনুমোদন মেলেনি এমন প্রার্থীদের তালিকা শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন-হ্যাকিংয়ের শিকার সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল

প্রচলিত রীতি অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ গ্রহণ করতে বাধ্য। যদি সিদ্ধান্তটি আদালত পুনর্ব্যক্ত করে তাহলে নিয়োগ করতেই হবে সরকারকে। এই কলেজিয়ামে ভারতের প্রধান বিচারপতি-সহ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন সিনিয়র বিচারপতি থাকেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, পুনরাবৃত্তি করা নামগুলির ক্ষেত্রে কী অসুবিধা আছে, কেন টালবাহানা করা হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। বিচারপতিরা কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের একটি তালিকা দিন, কীভাবে পুনরাবৃত্তি করা নামগুলি প্রক্রিয়া করা হয়েছে তা দেখবে আদালত। নিয়োগ নিয়ে এই আলোচনার সময় সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে বলেন, পুনরাবৃত্ত নামগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রশান্তভূষণের কথায়, এমন একটি নিয়ম থাকা উচিত যে যদি সরকার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুপারিশগুলি অনুমোদন না করে তবে কলেজিয়ামের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে বলেই মনে করতে হবে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানিকে বলেন, আমাদের পাঠানো সুপারিশগুলির বর্তমান স্ট্যাটাস কী তার একটি রিপোর্ট দিন এবং আমাদের বলুন নিয়োগে আপনাদের অসুবিধা কোথায়। এটা মনে রাখতে হবে, কলেজিয়াম কোনও সার্চ প্যানেল বা অনুসন্ধান কমিটি নয়। এটি যদি কেবল একটি অনুসন্ধান কমিটির মর্যাদা পেত, তবে আপনার (কেন্দ্রীয় সরকারের) বিবেচনার অধিকার থাকত। কলেজিয়ামের ধারণাটি আলমারিতে কঙ্কাল সন্ধান করা নয়, বরং এগিয়ে যাওয়া। সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল ঝাড়খণ্ড সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেছেন, কলেজিয়াম খুব দ্রুত ঝাড়খণ্ডের প্রধান বিচারপতি হিসাবে ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বি আর সারোঙ্গীকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল, কিন্তু কেন্দ্র সারোঙ্গীর অবসর গ্রহণের মাত্র ১৫ দিন আগে সেই সুপারিশে অনুমোদন দেয়। এটা খুবই অযৌক্তিক ও অন্যায়।

Latest article