রেললাইনের ইঁদুর (Rat) বা ট্রেনের মধ্যেই বা প্যান্ট্রিতে ইঁদুর দেখার অভিজ্ঞতা নেই এমন মানুষ বিরল। প্লাটফর্মের নীচ থেকে বেরিয়ে খাবার মুখে নিয়ে যেতে দেখা যায় প্রায়শই। এই নিয়ে এসেছে বিস্তর অভিযোগ। এই ইঁদুর মারতে নাজেহাল রেল। একটা ইঁদুর ধরতে রেলের কত টাকা খরচ শুনেই মাথায় হাত পড়ছে সকলের।
আরও পড়ুন-৯ ঘণ্টা পর ভোগ পেল জগন্নাথদেব, ভাঙল রীতি
নর্দার্ন রেলের লখনউ ডিভিশন গড়ে ৪১ হাজার টাকা খরচ করেছে প্রতিটি ইঁদুর ধরতে। রেল দফতর চন্দ্রশেখর গৌর নামে এক ব্যক্তির আরটিআইয়ের উত্তরে জানিয়েছে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা ১৬৮টি ইঁদুর ধরেছিল। এর ফলে খরচ হয়েছে ৬৯.৫ লাখ টাকা। অতএব, ইঁদুর ধরার খরচ মাথাপিছু ৪১ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন-একাধিক কর্মসূচি, ট্রেনে মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনায় মুখ্যমন্ত্রী
লখনউ ডিভিশন ছাড়াও আম্বালা, দিল্লি, মোরাদাবাদ ফিরোজপুর ডিভিশনের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল একই তথ্য। উত্তর এসেছে লখনউ ডিভিশনের তরফেই। ইঁদুর এর জন্য রেলের ক্ষতির পরিমাণটা জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের উত্তর যদিও রেল দিতে পারেনি। মূল্যায়ন করা হয়নি বলেই ছেড়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
আম্বালা ডিভিশন এই বিষয়ে জানিয়েছে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তারা ইঁদুরের ও যেকোন ধরণের পোকামাকড়ের শেষ করার অভিযান করে। খরচ হয় ৩৯.৩ লাখ টাকা। তবে কতগুলি ইঁদুর ধরা হয়েছে তার হিসেব দেয়নি। লখনউ ডিভিশন তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেসার্স সেন্ট্রাল ওয়ারহাউসিং কর্পোরেশন, গোমতী নগর, লখনউ পেস্ট অ্যান্ড রোডেন্ট কন্ট্রোল ওয়ার্ক এই কাজটা করেছে। আরশোলা, ইঁদুর, মশা প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছর ২৩.২ লাখ টাকা খরচ করা হয়। প্রতি বছর ২৫০০০ কোচে এই কাজ করা হয়।