প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে পাল্টা জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নয় বরং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বই আগামিদিনে এগোবে দেশ। শনিবার এভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-কোটি-কোটি টাকার টিকিট নষ্ট রেলের
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বলেন, বাংলা সব সময়ই এগিয়ে, এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বাংলায় সব কাজই হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সমস্ত কাজ বাংলায় হচ্ছে। দেশ তৈরির কাজও চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের কোনও ফতোয়া জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার নীতি মানছি না। আগেও মানিনি আর মানবো না। আমাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে না দিয়ে, প্রাণহানি না ঘটিয়ে বঞ্চনার টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দিক। রাজ্যের গরিব মানুষের ন্যায্য বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিলে মানুষ উপকৃত হবে এবং দেশও এগোবে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে দরদ দেখাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলছেন, ২০৪৭-এ উন্নত দেশ হবে ভারত। তার মানে বিজেপি সরকার ১০ বছরেরও বেশি ক্ষমতায় থাকার পরেও এখনও উন্নত দেশ হতে পারেনি ভারত। অথচ ২০১১-র পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেছে। রাজ্যের একাধিক জনমুখী প্রকল্প কেন্দ্রের বিচারেই প্রথম হয়েছে।
আরও পড়ুন-লক্ষ্যে পৌঁছল ইসরোর আদিত্য
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, স্বাধীনতা আন্দোলনের মতোই পশ্চিমবঙ্গের মহিলা থেকে ছাত্র-যুবরা দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই রাজ্য উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেছে। মাঝখানের ৩৪ বছরের যন্ত্রণাকে ভুলে মানুষ নতুন স্বাধীনতার ঘ্রাণ নিচ্ছে। রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরর নেতৃত্বে উন্নততর ভারত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নেবে বাংলা। আর রেলমন্ত্রীর এই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।