প্রতিবেদন: মোদি সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। তিরস্কার করল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকেও। বিচারপতিদের মন্তব্য, দেশের পরিবেশ আইন আসলে ফোকলা, দন্তহীন। সরকারের অদূরদর্শিতার কারণেই বাড়ছে দিল্লির বায়ু দূষণ-তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ মোদি সরকার কেন্দ্রীয় পরিবেশ আইনে সংশোধনী নিয়ে এসে পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কড়া শাস্তির পরিবর্তে আর্থিক জরিমানার নীতি প্রয়োগ করেছে৷
আরও পড়ুন-শুধুই ফাঁকা আওয়াজ মোদির, কেন্দ্রের ১০ লক্ষ পদ এখনও শূন্যই
সরকারের এই ভুল নীতির জেরেই বাড়ছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসলের অবশিষ্টাংশ বা পোড়ালি জ্বালানোর ঘটনা, বুধবার নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ধার্য জরিমানা আদৌ আদায় হচ্ছে না, প্রয়োগ হচ্ছে না সংশোধিত পরিবেশবিধি, এই নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ এই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফে মোদি সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারকে কাজের কাজ করতে হবে৷ পরিবেশ রক্ষায় কোনও পরিকাঠামোই তৈরি হয়নি, পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনও অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ পরিবেশ বিধি ভাঙলে যে জরিমানার কথা বলা হচ্ছে, সেই জরিমানাও সঠিক ভাবে ধার্য হচ্ছে না৷ ফলে লোকে শাস্তির ভয় পাচ্ছে না৷ এর পরেই শীর্ষ আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় দিল্লি এবং তার আশে পাশের এলাকার বায়ুদূষণ নিয়ে শুধুই রাজনীতি করা হচ্ছে, বাস্তবে কোনও কাজই করছে না কেউ৷ সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাট্টি জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যথোচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷