পূর্ণেন্দু রায়, নয়াদিল্লি
দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে ফের কঠোর অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার দূষণ মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আমরা মামলাটি বন্ধ করব না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা চালিয়ে যাব। সরকারের উচিত খড় পোড়ানো বন্ধে ব্যবস্থাপনার বিষয়ে রিপোর্ট করা। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ আরও পর্যবেক্ষণ করেছে যে, জাতীয় রাজধানীতে দূষণের বিষাক্ত মাত্রা বিশ্বের কাছে দেশের একটি নেতিবাচক চিত্র উপস্থাপন করছে।
আরও পড়ুন-বিরল রোগে আক্রান্ত সন্তান, বাড়িতেই ওষুধ তৈরি করে সুস্থ করছে বাবা
সুপ্রিম কোর্ট বলে, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর নয়, আগাম পদক্ষেপ করতে হবে সম্ভাব্য বায়ুদূষণ রোধে, আমলাতন্ত্রকে সক্রিয় থাকতে হবে। সরকারগুলিকে পরামর্শ দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তথ্যের ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সমাধান খুঁজুন। কেন আমরা প্রতি বছর এই কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, বিশ্বকে আমরা কী সংকেত দিচ্ছি? আদালত বলেছে, খড় পোড়ানো বন্ধ করতে হবে, না হলে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ নভেম্বর।
আরও পড়ুন-এক কাপ চায়েই দিনগুজরান, তালিব শাসনের ১০০ দিন পূর্তিতে আফগানদের প্রাপ্তি প্রবল খাদ্যসংকট
এদিন শুনানি শুরু হওয়ার পর আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশ সিং বলেছেন যে, একটি সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে পাঞ্জাবের নির্বাচনের কারণে খড় পোড়ানোর জন্য কোনও জরিমানা করা হয়নি। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না বলেছেন যে আমরা এর সঙ্গে সম্পর্কিত নই। বিকাশ সিং বলেন, আমরা দূষণ নিয়ে চিন্তিত, আর জরিমানা আদায় না করা দূষণের সঙ্গে জড়িত বিষয়।
আরও পড়ুন-বাঁকুড়া দাপাচ্ছে ৫৬ হাতি
তখন বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, রাজ্যগুলির সব বিষয় মাইক্রো-ম্যানেজ করা যায় না। এর পরে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি বলুন কী করা হয়েছে? আপনি বলেছিলেন ২১ নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। প্রবল বাতাসের কারণে আমরা রক্ষা পেয়েছি, তবে আবহাওয়া দফতরের খবর ছিল যে আজ সন্ধ্যা থেকে এটি আবার গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে বলতে পারবেন? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এরপর একটি লিখিত নোট পড়তে থাকেন তুষার মেহতা।