প্রতিবেদন : শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Murder Case) খুনি আফতাব পুনাওয়ালার নার্কো অ্যানালাইসিস টেস্টের অনুমতি দিল দিল্লির আদালত। ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে তার দেহ ৩৫টি টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। এই খুনের ঘটনায় পুলিশি জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেমিকাকে খুনের কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে আফতাব। তবে পুলিশের সন্দেহ, এখনও সব সত্যি কথা বলেনি সে। তাই আদালতের কাছে নারকো টেস্টের অনুমতি চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। মেলেনি শ্রদ্ধার শরীরের বাকি অংশ। এখনও পর্যন্ত যে ১৩টি অংশ উদ্ধার হয়েছে সেগুলি শ্রদ্ধার কিনা তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, শ্রদ্ধাকে খুন আফতাবের প্রথম অপরাধ নয়। এর আগেও সে অপরাধ করেছে। জেরায় আফতাব জানিয়েছে, ৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল সে। কিন্তু ওই দিন শ্রদ্ধা প্রচণ্ড কান্নাকাটি শুরু করায় আবেগতাড়িত হয়ে সে ওই দিন শ্রদ্ধাকে খুন করে উঠতে পারেনি।
আরও পড়ুন-মার্কিন কার্গো বিমানের জরুরি অবতরণ, প্রাণ বাঁচল ৩ যাত্রী ও ৫৩ সারমেয়র
এখনও পর্যন্ত এই খুনের (Shraddha Murder Case) ঘটনার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সূত্রের খবর, এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হতে পারে। এই খুনের ঘটনার পুরো তথ্য এখনও দিল্লি পুলিশ জোগাড় করতে পারেনি। মনে করা হচ্ছে সেই সমস্ত সূত্র খুঁজতেই সিবিআইয়ের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করার পর মে মাসের ২২ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে আফতাব ৫৪ হাজার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলে। টাকা হস্তান্তরের এই ঘটনা নিয়েই পুলিশ আফতাবকে জেরা করতে শুরু করে। সে পুলিশকে জানিয়েছিল ২২ মে শ্রদ্ধা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাহলে শ্রদ্ধা চলে যাওয়ার পর কিভাবে সে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হস্তান্তর করল তা নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ জাগে। সেই সন্দেহ থেকেই দীর্ঘ জেরা করে এই খুনের কথা পুলিশ জানতে পেরেছে।