প্রতিবেদন : পুজো উদ্বোধনে শীর্ষে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য নেতারাও যে যাঁর এলাকায় আমন্ত্রিত। এখন পুজোর মধ্যেও চলছে মণ্ডপ পরিদর্শন। সেই সঙ্গে ‘জাগোবাংলা’র স্টলের আমন্ত্রণ। সামনেই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। বিজেপি সভাপতি যখন আর্তনাদ করে বলছেন যে পুজোর জন্য তাঁদের প্রচারে সমস্যা হচ্ছে, তখন তৃণমূলে পুরো উল্টো ছবি। রাজনৈতিক প্রত্যক্ষ প্রচার নয়, চার এলাকাতেই পাড়ায় পাড়ায় আমন্ত্রণে আপ্লুত তৃণমূল প্রার্থীরা। তাঁরা যাচ্ছেন এবং সাদর অভ্যর্থনা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-বিশ্বরেকর্ড! ভোটে লড়ে ১ ভোট পেলেন বিজেপি প্রার্থী
খড়দা চষে ফেলছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গোসাবায় এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরছেন সুব্রত মণ্ডল। দিনহাটায় উদয়ন গুহকে ঘিরে উন্মাদনা। শান্তিপুরে যেভাবে ব্রজকিশোর গোস্বামীকে নিয়েহইহই চলছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে না যে ক’মাস আগে এখানে অন্য কোনও দলের লিড ছিল। কোনও সরাসরি প্রচার নয়। চার কেন্দ্রের পুজোর জনসংযোগই বলে দিচ্ছে তৃণমূল চারটি আসনেই জিততে চলেছে। তৃণমূল প্রার্থীরা পাড়ার মণ্ডপে পৌঁছলেই ব্যাপক সাড়া। পুজোর পর ট্র্যাডিশনাল মিটিং, মিছিল শুরু হবে। কিন্তু তার আগেই তো কিস্তিমাত। দিনহাটায় জনজোয়ার দেখে উদয়ন গুহ সামান্য ভোটঘাটতির দুঃখ ভুলে যাচ্ছেন। তৃণমূল কর্মীরা আত্মবিশ্বাসী চার কেন্দ্রেই। এমনকী বিজেপির ভোটাররাও এবার তৃণমূলমুখী।