প্রতিবেদন : অমানবিক! অনৈতিক! আইন বিরুদ্ধ! গণধর্ষণের শিকার এক পড়ুয়াকে বসতেই দেওয়া হল না দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায়। যুক্তিটা অদ্ভুত, ছাত্রীটি স্কুলে এলে নাকি নষ্ট হয়ে যাবে পরিবেশ। বিজেপি-শাসিত রাজস্থানের আজমেরে একটি বেসরকারি স্কুলে ঘটেছে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা। স্তম্ভিত দেশের শিক্ষামহল। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সর্বত্র। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে শিশু কল্যাণ কমিশন।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী অভিযোগ করেছে যে তার স্কুল তাকে বোর্ড পরীক্ষায় বসতে দেয়নি কারণ সে গত বছর গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ছাত্রীটির অভিযোগ, স্কুলের আধিকারিকরা তাকে বলেছিল যে সে পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হলে পরিবেশ নষ্ট হবে। আজমেরের ওই বেসরকারি স্কুল অবশ্য দাবি করেছে, তারা ছাত্রীকে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেয়নি কারণ সে ৪ মাস ধরে ক্লাসে যোগ দেয়নি। অথচ আশ্চর্যের বিষয়, স্কুল কর্তৃপক্ষই নাকি তাকে স্কুলে না এসে বাড়িতে বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন ছাত্রীটি অন্য স্কুলের একজন শিক্ষকের কাছে যায় এবং খুলে বলে পুরো ব্যাপারটা। ওই শিক্ষকই তাঁকে চাইল্ড হেল্পলাইন নম্বরে কল করার পরামর্শ দেন। আজমেরের শিশু কল্যাণ কমিশন (সিডব্লিউসি) একটি মামলা দায়ের করেছে এ ব্যাপারে এবং তদন্তের পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ, পান্ডা মোদির দলের কর্মী
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের অক্টোবরে ওই ছাত্রীকে তার কাকা ও আরও দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ছাত্রীটি কিন্তু বেশ মেধাবী। দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল সে। বোর্ড পরীক্ষার সময় চলে গেলেও ছাত্রীটিকে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন অঞ্জলি শর্মা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থাও।