সংবাদদাতা, বারাসত : কালীপুজোর দিনের আগে থেকেই বারাসত ও মধ্যমগ্রামে মণ্ডপগুলিতে আছড়ে পড়ল দর্শনার্থীদের ঢেউ। শনিবার থেকেই বারাসতের মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় শুরু হয়েছিল। একে করোনা আবহে দুই বছর পুজোর কাটছাঁট, নিয়মকানুন, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর চোখরাঙানি, দুইয়ের জাঁতাকলে সময় নষ্ট করতে রাজি নয় দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন –দিঘায় জলোচ্ছ্বাস, পুলিশি বলয়
ফলে পুজো মণ্ডপে শেষের আগে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। রবিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, কয়েক পশলা হালকা বৃষ্টির মধ্যেও রাস্তায় দেখা গেল মানুষের ভিড়। সময় যত গড়িয়ে বিশেষত সন্ধ্যার পর জনজোয়ারে ভেসেছে বারাসতের রাস্তা। যদিও মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টি দর্শনার্থীদের বিব্রত করেছে তবে তাদের উৎসাহকে দমাতে পারেনি। প্রায় প্রতিটি বড় মণ্ডপে লাইন পড়ে যায়। দূরদূরান্তের মানুষ ভিড় জমিয়েছে। তবে সোমবার সকাল থেকে খেপে খেপে বৃষ্টি হওয়ায় এবং সিত্রাং-এর কারণে আগাম বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় বারাসতের রাস্তায় জনস্রোতের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
আরও পড়ুন –মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের ঢল
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অনেকেই রাস্তায় নেমেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই প্রকৃতির গোমড়া মুখ নিয়েই রাস্তায় মানুষের ঢল। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন বিকেল থেকেই শুরু হয়ে গেল রাস্তায় ব্যারিকেড। ১৫০০ পুলিশ নামানো হয়েছে শুধুমাত্র বারাসতেই। সব নিয়ে পুজোর আগেই বারাসতের কালীপুজো অতীতের চেনা ছন্দে।\