সংবাদদাতা, তারাপীঠ : এবারও লক্ষ লোকের ভিড় তারাপীঠে। আরতি পুজো চলছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড়। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে হয় মায়ের বিশেষ পূজা। ষোড়শপচারে শৃঙ্গার বেশে বেনারসি পরে পুজার পর দ্বিপ্রাহরিক ভোগে পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা, পঞ্চব্যাঞ্জন, বলির মাংস, পরমান্ন, পাঁচ রকম মিষ্টি, দই, পান দেওয়া হয়। তারপর গোটা দিন ভক্তেরা পুজো দেন। সন্ধ্যায় শৃঙ্গার বেশে বেনারসি পরিয়ে শীতলী পূজা ও মঙ্গলারতি হয়। তখন লুচি, সুজি, পাঁচ রকম মিষ্টি দেওয়া হয়। রাত বারোটা পর্যন্ত চলবে নিশিপুজো। তারপর রাত্রে খিচুড়ি ভোগ, পঞ্চব্যাঞ্জন, বলির মাংস, মাছ, দই, মিষ্টি দেওয়া হয়। ষোড়শপচারে নিশিপুজো চলে ভোর তিনটা পর্যন্ত। কিছুক্ষণ মাকে বিরাম দেওয়ার পর স্নান করিয়ে শৃঙ্গার বেশে ভোর চারটে নাগাদ পুজো শুরু হবে। যেহেতু অমাবস্যা তিথি ২ সেপ্টেম্বর ভোর ৫ টা ৫ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে শুরু এবং অমাবস্যা তিথি থাকবে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ২৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড পর্যন্ত চলবে অমাবস্যার বিশেষ পূজা। তারামাতার অন্যতম সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্ধে থেকে ভিড় বাড়বে।
আরও পড়ুন-মানুষখেকো নেকড়ে ধরতেও ব্যর্থ যোগীর বনদফতর
কথিত আছে মহিষাসুর বধের পর শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন স্বর্গের দেবতারা। মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী নিজ কোষ থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত করে এক পরমাসুন্দরী দেবীমূর্তিতে আবির্ভূত হন। নিজ কোশ শরীর থেকে বের হওয়ার জন্য হলেন কৌশিকী। কৌশিকী দেবী আবার তারা ও কালীতে রূপান্তরিত হন। শোনা যায় কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমুল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ফলে ওই দিন পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়।