প্রেমের নির্মম পরিণতি! সিরিয়ালের কায়দায় গেরুয়া রাজ্যে শ্যালককে খুন

প্রসঙ্গত, সোনু গুপ্তের দেহ মধ্যপ্রদেশের এক কলেজের কাছে উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নবরত্ন গুপ্ত সোনুর সম্পর্কে বোনের বর।

Must read

ক্রাইম প্যাট্রোল (Crime Patrol) থেকেই শিক্ষা। বিজেপি রাজ্য মধ্যপ্রদেশে স্ত্রীর বৌদির সঙ্গে প্রেমের পরিণতি পেতেই কঠোরতম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন অভিযুক্ত নবরত্ন গুপ্ত। ৩০ বছর বয়সী সোনু গুপ্ত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাই সম্পর্কে শ্যালককে খুন করলেন অভিযুক্ত এই যুবক। অভিযুক্তকে মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন-হিমাচল প্রদেশে শিক্ষকদের জন্য জারি নয়া পোশাকবিধি

প্রসঙ্গত, সোনু গুপ্তের দেহ মধ্যপ্রদেশের এক কলেজের কাছে উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নবরত্ন গুপ্ত সোনুর সম্পর্কে বোনের বর। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে বেশ কিছুদিন ধরেই নিয়মিত সোনুর বাড়িতে যাতায়াত করছিলেন অভিযুক্ত। বাড়িতে না ঢুকলেও মাঝে মধ্যেই চারপাশ রেইকি করেছেন ভালভাবে। পুলিশ নবরত্নের অবস্থান মুম্বইতে জানতে পেরে সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জেরার মুখে পরে নবরত্ন খুনের কথা শিকার করেন। জানান তাদের প্রেমে বাধা হওয়ায় সোনুকে খুন করেন তিনি। রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়। নিয়মিত ক্রাইম পেট্রল দেখে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি এবং পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার কৌশলও আয়ত্তে আনেন তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

আরও পড়ুন-মোহালিতে প্রতিবেশীর মারে হাসপাতালে মৃত্যু তরুণ বিজ্ঞানীর

প্রথমে অভিযুক্ত মুম্বই থেকে ভোপাল যান। নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন, যাতে তাঁকে ট্র্যাক করা না যায়। এরপর এক অপরিচিত ব্যক্তির ফোন থেকে সোনুকে ফোন করে দেখা করার কথা বলেন। তদন্ত ভুল পথে চালনা করার জন্য তিনি খুনের আগে এক দোকান থেকে চুড়ি ও প্রসাধনী সামগ্রী কিনে ঘটনাস্থলে ফেলে আসেন। পুলিশের সন্দেহ সোনুর প্রেমিকার দিকে ঘোরাতেই এই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। যদিও সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। সিসিটিভি ফুটেজ ও ফোনের কল রেকর্ডের মাধ্যমেই পুলিশ তাঁর কাছে পৌঁছে যায়। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি।

Latest article