পাহাড় সমান মামলা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। ফাইলের ওপর জমছে ধুলো। বিগত ১০ বছরে আটগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে মামলা জমার হার। এখনও ঝুলে রয়েছে ৮৩ হাজার মামলার। যা সর্বাধিক। ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দিকে যে দিনের পর দিন চেয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ তার কী হবে! সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটেনি।
২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা বাড়ে। ২৬ থেকে সংখ্যাটি হয় ৩১। আশা ছিল বিচারাধীন মামলার সংখ্যা কমবে। কিন্তু তা তো হয়নি। উল্টে তা আরও বৃদ্ধি পায়। ২০১৩ সালে বকেয়া মামলার সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে বেড়ে হয় ৬৬ হাজার। ২০১৪ সালে প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবম ও আর এম লোধার সময় সংখ্যাটা সামান্য কমেছিল। ২০১৭ সালের মধ্যে তা আরও কমে হয় ৫৬ হাজার। তবে ২০১৮ সালে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের সময় আবারও বাড়তে থাকে এই সংখ্যা।
আরও পড়ুন- খুশির খবর! শিক্ষক দিবসে ৬ লক্ষ পড়ুয়াকে স্মার্ট ফোন কেনার জন্য টাকা দেবে রাজ্য
২০১৯ সালে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর সময় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে ৩১ থেকে হয় ৩৪। এমন সময় দেশে কোভিড মহামারী থাবা বসায়। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাকি থাকা মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৯ হাজার। গগৈর পর প্রধান বিচারপতির পদে বসেন ডি ওয়াই চন্দ্রডূড়। গত দুই বছরে আরও ৪ হাজার মামলা জমে মোট সংখ্যা হয়েছে ৮৩ হাজার।
এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বক্তব্য জামিনের মামলাও হাই কোর্ট দিচ্ছে না, তার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আসতে হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। জামিন পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার, তার জন্য কেন সুপ্রিম কোর্টে আসতে হবে!