মণীশ কীর্তনিয়া: নিয়ম বদলে খাদিতে এবার যুক্ত হচ্ছে ছোটরাও। খাদির ৬৫ বছরের (১৯৫৯-২০২৪) ইতিহাসে এই প্রথম ছোটদের জন্য তৈরি করছে খাদি। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই যা পাওয়া যাবে রাজ্য জুড়ে খাদির আউটলেটগুলিতে। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র বড়দের জন্যই খাদি প্রোডাকশন করত। ছোটদের সেখানে কোনও জায়গা ছিল না। বাবা-মায়ের হাত ধরে খুদেরা খাদির আউটলেটে গেলেও তারা ফিরত খালি হাতেই। এবার সেই দিন শেষ। এবার তাদের জন্যও তৈরি হচ্ছে তিন থেকে চার রকমের নানাবিধ ডিজাইনের খাদির পোশাক। একেবারে তিন-চার বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে ১৪-১৫ বয়স পর্যন্ত কিশোর-কিশোরীদের চাহিদার কথা ভেবে নানারকম জামাকাপড় তৈরি করছে খাদি বোর্ড। অবশ্যই দাম থাকছে ক্রেতার পকেটের রেস্ত বুঝেই।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে সরকারি সংস্থাটি। টানা লোকসানে চলা এই খাদিকে লাভের মুখ দেখিয়েছেন তিনি। প্রতিবছরই পুজোয় নতুন ভাবনা খাদিতে যোগ করেন তিনি। এবার যুক্ত হয়েছে ছোটরা। কল্লোল খাঁ জানালেন, ১৯৫৯ সালে খাদির পথচলা শুরুর পর থেকে এই ৬৫ বছরে ছোটদের নিয়ে কেউ ভাবেনি। খাদি শুধুই বড়দের কেন হবে? ছোটদের নয় কেন? এই ভাবনা থেকেই এবার ছোটদের জামাকাপড় প্রোডাকশন শুরু করল খাদি। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার অর্ডার হয়ে গিয়েছে। ধাপে ধাপে আরও অর্ডার যাবে। পুজোর আগেই রাজ্য জুড়ে খাদির আউটলেটগুলিতে ছোটদের জামাকাপড় পাওয়া যাবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁয়ের কথায়, পথ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোয়াপাধ্যায়। আমি চেষ্টা করেছি বাংলার শ্রমজীবী ও নিচুতলার মানুষদের কাছেও যাতে খাদি পৌঁছতে পারে। তাদের সাধ্যমতো দামের মধ্যে যাতে উন্নতমানের জামাকাপড় দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই করেছি। এবার ছোটদের কথা ভেবে প্রোডাকশনে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হল।
আরও পড়ুন-বোসো এই কাব্যের পাশে
এখানেই শেষ নয়। খাদিতে আরও উন্নতমানের প্রোডাকশন দিতে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে খরচ কমাতে রাজ্য জুড়ে সোলার সিস্টেম লাগাচ্ছে খাদি বোর্ড। এতে খরচ হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা। উপকৃত হবেন খাদির সঙ্গে জড়িত শ্রমিক-কর্মচারীরা। এছাড়াও পুরুলিয়ায় খাদি একটি নতুন অফিস শুরু করা হয়েছে। আমজনতার কাছে খাদিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই রাজ্যের ১৯টি জেলায় চালু হচ্ছে খাদি মেলা। সেখানে কম দামে মিলবে খাদির পোশাক। পুজোর আগে ক্রেতাদের কাছে যাবে বাড়তি পাওনা।