বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: বাংলার আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল জটেশ্বরের ধজেন রায়ের। সেই ঘর পাওয়ার জন্য সরকারি নিয়ম মেনে একবার নয়, তিন-তিনবার সার্ভেও হয়েছিল ধজেন রায়ের বাড়িতে। সার্ভের পর চূড়ান্ত তালিকায় নামও উঠেছিল তাঁর। পঞ্চায়েতের নির্দেশমতো, ঘরের তালিকায় নাম থাকায় জবকার্ড সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন গ্রামপঞ্চায়েত দফতরে। কাগজপত্র আপলোড হওয়ার পর দেখা যায়, তাঁর জবকার্ড আগেই ব্যবহার করা হয়েছে অন্যত্র।
আরও পড়ুন-কর্ণপ্রয়াগ, নৈনিতাল, উত্তরকাশী নিয়েও আশঙ্কার পূর্বাভাস
ফলে ঘর পাওয়া থেকে বাদ পড়েন ধজেনবাবু। একজনের জবকার্ড অন্যজনের নামের সঙ্গে জুড়ে গেল কীভাবে, আর এক ব্যক্তির জবকার্ড অন্য ব্যক্তির নথি হিসেবে আপলোডও করা হল কেন? তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপি পরিচালিত জটেশ্বর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন ওই ঘর প্রাপকের পরিবার। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলে নিজের ঘর কোনওমতেই ছাড়তে রাজি নয় ওই পরিবারটিও। এই প্রসঙ্গে ফালাকাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুভাষ রায় বলেন, বিজেপি মানুষের কাজ সঠিক ভাবে করে না, নাহলে এই দরিদ্র মানুষটির নাম আবাসের তালিকা থেকে বাদ পড়ত না। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করব।