প্রতিবেদন : রাজ্যে আরও উন্নত মানের আলু উৎপাদন করার জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে রাজ্য সরকার। বীজ উৎপাদনে অ্যাপিক্যাল রুটেড কাটিং নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলতি বছরে ৫০ লক্ষ উন্নত মানের আলু চারা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে ধান, আলু, তৈলবীজ-সহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি দফতরের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যে প্রচুর আলু উৎপন্ন হলেও আলুবীজ তৈরির ব্যাপারে এখনও পুরোপুরি স্বনির্ভর হয়ে ওঠা যায়নি। তবে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রাজ্যে উন্নত মানের আলুবীজ তৈরি করা যাবে। কম জলে চাষ হওয়া আলুর চাহিদা রয়েছে শিল্পমহলে। বিদেশেও চিপস তৈরির জন্য ওই আলুর চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন-পিএমএলএ মামলাতেও জামিন নিয়ম এবং জেল ব্যতিক্রম, ইডিকে সতর্ক করে বলল সুপ্রিম কোর্ট
এ ধরনের আলু উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না। একই রকম ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাল, ভুট্টা, সর্ষের বীজ তৈরিতেও স্বনির্ভর হয়ে ওঠার পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য। এদিকে আলুবীজ সংরক্ষণের জন্য আলু সংরক্ষণে ব্যবহৃত হিমঘরগুলিকেই কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। কৃষিমন্ত্রী জানান এ-ব্যাপারে হিমঘর মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বণিক সভাগুলির সঙ্গেও ব্যাপারে কথা বলা হবে। আলুবীজ হিমঘরে সংরক্ষণ করা গেলে বীজ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ অনেক কমবে। ফসলের মানও বাড়বে। এজন্য প্রয়োজনে হিমঘরগুলি সম্প্রসারণের অনুমোদন দেবে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে কম শর্করাযুক্ত ধান চাষের ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে শোভনদেববাবু জানান।